মিয়ানমারে আরেকটি রক্তাক্ত দিন, নিহত ৩৮ | Daily Chandni Bazar মিয়ানমারে আরেকটি রক্তাক্ত দিন, নিহত ৩৮ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২১ ১১:২১
মিয়ানমারে আরেকটি রক্তাক্ত দিন, নিহত ৩৮
অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে আরেকটি রক্তাক্ত দিন, নিহত ৩৮

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনে আরও অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় বিক্ষোভে সেনা-পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ২১ জন।

এছাড়া রোববার (১৪ মার্চ) দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুনের হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় রোববার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছুরি ও লাঠি হাতে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের ওপর গুলি ছোড়ে নিরাপত্তাবাহিনী।

ছুরি-লাঠি হাতে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা

এক চীনা ব্যবসায়ীর ওপর হামলার পর এলাকাটিতে সামরিক আইন জারি করেছে জান্তা সরকার। এদিকে সেনাবাহিনীকে চীন সমর্থন দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলে নেয় সামরিক বাহিনী। ২০২০ সালের নভেম্বরে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। কিন্তু ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনে সেনাবাহিনী।

এই অভিযোগ এনেই বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং সু চিসহ তার দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়। এরপর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসকসহ দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এদিকে বিক্ষোভ থামাতে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অপরদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে লুকিয়ে থাকা রাজনীতিবিদরা ঘোষণা দিয়েছেন, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চলবে। তারা নিজেদের মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করেছেন।

সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ

লুকিয়ে থাকা রাজনীতিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির প্রধান মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ‘এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত। তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে।’

একদল সংসদ সদস্যকে নিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন খিয়াং থান, যারা গত মাসের অভ্যুত্থান মেনে নেননি। এনএলডির যে এমপিরা গ্রেফতার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন, যার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ)। দলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছে সিআরপিএইচ।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন