বিআরটিএ কার্যালয়ে আগুন, ৭ দিনের প্রতিবেদন মেলেনি একমাসেও | Daily Chandni Bazar বিআরটিএ কার্যালয়ে আগুন, ৭ দিনের প্রতিবেদন মেলেনি একমাসেও | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২১ ০৯:৪৬
বিআরটিএ কার্যালয়ে আগুন, ৭ দিনের প্রতিবেদন মেলেনি একমাসেও
অনলাইন ডেস্ক

বিআরটিএ কার্যালয়ে আগুন, ৭ দিনের প্রতিবেদন মেলেনি একমাসেও

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয়ে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে ওই কার্যালয়ের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও ফাইল পুড়ে যায়।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় পরের দিন (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে বিআরটিএ সদর দফতরের যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলমকে আহ্বায়ক, সদর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. ফারুক আহমেদকে সদস্য সচিব এবং জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগের একজন প্রতিনিধি, বিআরটিএ চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরের জামান চৌধুরীকে সদস্য করা হয়।

একই সঙ্গে তদন্ত কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ নির্ণয়সহ সার্বিক বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।

তদন্ত কমিটি গঠনের পরদিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই টিম বিআরটিএ কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তারা বিআরটিএ কার্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন এবং আগুন লাগার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। কিন্তু এরপর প্রায় এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সেই সাত দিনের প্রতিবেদন এখনও জমা হয়নি বিআরটিএ সদর দফতরে।

সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বলছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক। শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন শাখায় আগুন লাগলেও বাকি লাইসেন্স ও ফিটনেস শাখায় কোনো সমস্যা হয়নি। আগুনের তাপমাত্রায় ছাদের অনেকাংশ ভেঙে যায়।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিএ কর্মকর্তার দাবি, আগুন লাগার ১০ দিন আগে থেকে বিআরটিএতে সরবরাহকৃত বৈদ্যুতিক লাইনে ভোল্টেজ আপ-ডাউন করছিল। তারই সূত্র ধরে হয়তো এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে বিআরটিএ চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. নুরের জামান চৌধুরী বলেন, ‘এখনও রিপোর্ট সম্পূর্ণ হয়নি। তদন্ত কমিটিতে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ দল ছিল। তারা অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে তদন্ত করেছেন। আমি যতটুকু জানি, বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে মত দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ দল।’

বিআরটিএ’র পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) ও যুগ্ম-সচিব মো. সরওয়ার আলম ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘আগুন লাগার উৎপত্তিস্থল, ভবন ও আশপাশের এলাকা আমি দেখে এসেছি। কি কারণে আগুন লাগতে পারে তা স্পষ্ট করে এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও আগুন লাগা পরবর্তী বিআরটিএ কার্যালয় স্থাপনায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করতে গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছি, তারা সকলে আমাকে লিখিত প্রতিবেদন দিলে আমি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রদান করবো।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার  সাজ্জাদ হোসাইন