হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দিগম্বর বাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর মা-মেয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। চুরির জন্যই গভীর রাতে অঞ্জলী মালাকার (৩৫) ও তার মেয়ে পূজাকে (৮) হত্যা করেছিলেন প্রতিবেশী আমির হোসেন ও তার সহযোগীরা। এরপর আমির নিহত অঞ্জলীর স্বামীকে খবর দেন। তিনি তখন ব্যবসায়িক কাজে সুনামগঞ্জ শহরে ছিলেন।
ঘটনার পর আমির নিজেকে আহত দাবি করলে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এরপর তিনি হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে শনিবার (২০ মার্চ) রাতে সংবাদ সম্মেলনে জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।
তিনি বলেন, ১৮ মার্চ সকালে উপজেলার দিগম্বর বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে অঞ্জলী মালাকার ও তার মেয়ে পূজার গলাকাটা ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বাড়িটির আরেক ভাড়াটিয়া আমির হোসেনকে বাইরে থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী আহত আমিরকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে তার সহযোগী মনির হোসেনকে পুলিশ আটক করে। তারা শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, চুরির উদ্দেশ্যেই তারা ওই ঘরে ঢোকে। মা-মেয়েকে হত্যার পর তারা ঘরের ড্রয়ারে থাকা ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও চুরি করে আনা মোবাইল ফোনটি ঘটনাস্থলের পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার সাজ্জাদ হোসাইন