বরগুনার সদর উপজেলার ৬নং ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ মার্চ) রাতে বুড়িরচর ইউনিয়নের কামরাবাদ এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবিবের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১০টায় সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকরা মোটরসাইকেলে করে বরগুনার দিকে যাচ্ছিল। এসময় হুমায়ূন কবিরের সমর্থকরা তাদের ওপর করে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মো. রিয়াজসহ দুইজন আহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেন তারা।
গুরুতর আহত মেম্বারপ্রার্থী রিয়াজ ও অপর এক ব্যক্তিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত মো. রিয়াজ বলেন, ‘আমরা কামরাবাদ বাজার হয়ে বরগুনা সদরের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন রাস্তার পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির ও তার সমর্থকরা দা-লাঠি দিয়ে হামলা চালায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমার মাথায় কোপ দেয়। এমনকি আমরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারি সেজন্য গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়’।
চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি টানা দুইবার এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমার জনপ্রিয়তা দেখে তারা এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। হামলা, ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা কখনও জনগণের ভোট পাবে না। হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাই’।
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমার কর্মীরা মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকরা এসে পেছন থেকে আমাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এরপর আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘হামলার পর আমার কর্মীরা জীবন বাঁচাতে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে আসে। তারা আমাদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়’।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই ইউনিয়নে কয়েক দফা টহল দিয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার সাজ্জাদ হোসাইন