
স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথ। সাড়ে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হয়েছে রেল যোগাযোগ।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ‘মহানগর গোধূলি’ ট্রেন আখাউড়া স্টেশন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। পথিমধ্যে দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এসে যাত্রা বিরতি করে।
যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এরপর নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস রাত পৌনে ১টা ও ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আখাউড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। তিনি জানান, রেলপথ সচল থাকায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মাস্টার মো. সোয়েব জানান, বিকেলে কয়েকশত মাদরাসাছাত্র অতর্কিত হামলা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে। এ সময় তারা রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বিক্ষুব্ধরা স্টেশনে একটি টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল প্যানেল ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে রেললাইনের ওপর এনে অগ্নিসংযোগ করে। ফলে চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ভৈরবের দৌলতকান্দি স্টেশনে, ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি কসবা স্টেশনে, পারাবত এক্সপ্রেস হরষপুর স্টেশনে, উপকূল এক্সপ্রেস মেথিকান্দা স্টেশনে, ঢাকাগামী জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস আজমপুর স্টেশনে, মহানগর এক্সপ্রেস আখাউড়া স্টেশনে, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ভৈরব স্টেশনে ও কর্ণফুলী পাঘাচং স্টেশনে আটকা পড়ে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন