![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
অসহায় আর আর্তমানবতার সেবা করতে সামাজিক সংগঠন ‘পাশে আছি আমরা’ কাজ শুরু করেছে। সামাজিক সংগঠন ‘পাশে আছি আমরা’ সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের আওয়ের একটি অংশ দিয়ে অবহেলিত, অভাবী, অসহায় এবং শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওযার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছে বগুড়ার এই সংগঠনের সদস্যরা। সদস্যরা মনে করছেন মানব সেবার মধ্যে দিয়ে আধুনিক সমাজ গঠনে ভূমিকা রেখে যাবে। অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে মুখিয়ে কাজ করছেন সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সামাজিক সংগঠন ‘পাশে আছি আমরা’ এর সদস্য দিনদিন বাড়ছে। এই সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের আয়ের কিছু কিছু অর্থিক সহযোগিতা দিয়ে সমাজ সেবা করে থাকেন। সদস্যরা মনে করেন একজন অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়ানোই একটি বড় সহযোগিতা। এরপর তার পাশে বসে একমুঠো খাবার দেওয়া বা তার সমস্যার সমাধানে এগিয়ে যাওয়া বড় তৃপ্তির। তারা মন করছেন একবারে সব হবে না কিন্তু পর্যায়ক্রমে একদিন ঠিক পেরে যাবেন। তাদের কোন পুঁজি নেই। নিজেদের অর্থ আর যিনি যে ভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেন সে ভাবে কাজ করেন সদস্যরা। জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাময় গুণাবলী বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা ও তাদের নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ভূমিকা রাখা এই সংগটনের কাজ। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক সৃষ্টির লক্ষে স্কুল-কলেজে বিভিন্ন কর্মশালা যেমন-বিতর্ক, কুইজ, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনামূল্যে তথ্য সেবা ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োাজন করা। বিপদে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য গাইডলাইন সুনিশ্চিত করা, দুস্থদের চিকিৎসার জন্য অর্থ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, ত্রাণ কার্যক্রম, উন্নয়নমুখী ও সৃজনশীল কাজে প্রেরণা যোগাতে সংবর্ধনা প্রদান, সমাজের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের পাশে থাকা, এতিম শিশুদের নিয়ে কাজ করা, বেকার ও কর্মমুখী তরুণদের শর্তসাপেক্ষে সহযোগিতা করা, ভাল চাকুরি যেন পায় সে বিষয়ে তাকে গাইড লাইন দেওয়া, অভাবী পরবিারের সন্তানদের বিয়ে প্রদানে সহযোগিতা করা, শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিনোদন ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করবে। তরুণদেরকে বিজ্ঞান মুখি করা ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করা, সামাজিক সচেতনতায় কাজ করা, সরকারে বিভিন্ন নির্দেশনা মেনে চলা, অসহায় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করা, ঝড়ে পড়া স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করা, স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করা, পথ শিশুদের কল্যাণে কাজ করা, রক্তসেবা ও জরুরী রুগিদের জন্য ব্লাড ব্যাংক গড়া হবে। যেন যে কোন রুগির জন্য জরুরীভাবে রক্ত প্রদান করা যায়। এসবই সংগঠনের আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে শুরু করেছে যাত্রা। তাদের শক্তি এদেশের জনগণ। তাদের প্রেরণা কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ। যারা এ দেশকে ভালবেসে অভাবী মানুষের জন্য কিছু করতে চাইছেন। তাদের নিয়ে গড়া পাশে আছি আমরা।
পাশে আছি আমরা" উপদেষ্টামন্ডলীর প্রধান রয়েছেন, প্রফেসর ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান এবং তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মো: মোস্তফা কামাল সরকার ও মো: মাহবুব আলম।
সংগঠনের তরুণ সমাজ সেবক সরোয়ার হোসেন জানান, স্বাধীনতার মাসে ৫ মার্চ ৪০০ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মুখে ভালমানের খাবার তুলে দিয়ে সবে মাত্র কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কয়েজন প্রবাসী সহযোগিতা করছেন। আরো কিছু তরুণ যারা সমাজ সেবায় আগ্রহী তারাও কাজ করছেন। সমাজের অভাবী মানুষের জন্য তাদের আয়ের কিছু অংশ দিয়ে সবাই মিলে কাজ করছেন। আসছে ঈদে যাদের প্রয়োজন হবে তাদের ঈদ সামগ্রীও তুলে দেবে সংগঠন থেকে। পাশে আছি আমরা এই সংগঠন টি শুধুমাত্র সমাজিক বিষয় নিয়ে আগামীতে অভাবীদের জন্য কাজ করে যাবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন