
মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুরে রাসনা ও ওরস্যালাইন খেয়ে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য জ্ঞান হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের মৃত আরশেদ সর্দারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫২), তার স্ত্রী রেবেকা খাতুন (৪১), তার দুই সন্তান মৌসুমি (২৫) ও রিফাত (১৫), মৌসুমির ছেলে শানজিম (৮)।
প্রতিবেশীরা জানান, রাতে ওরস্যালাইন ও রাসনা গুলিয়ে পরিবারের সদস্যরা পান করেন। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তারা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর শিশু রিফাত জানায়, রাতে বাড়ির পাশের দোকান থেকে ওরস্যালাইন ও রাসনা কিনে নিয়ে আসে শিশু শানজিম। রাতেই পরিবারের সদস্যরা পান করেন। কিছুক্ষণ পর মাথা ঝিমঝিম করে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন সবাই। এরমধ্যে শানজিম ও মৌসুমি খাতুনের কয়েকবার বমি হলে তাদের জ্ঞান ফেরে।
বলিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাতে ট্যাংক জাতীয় কিছু খেয়ে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে শুনেছি। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এটা অস্পষ্ট।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুব ই খোদা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটতে পারে। তাদের সবার জ্ঞান ফিরেছে এবং চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন