![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
"আমার গ্রাম আমার শহর" বিনির্মাণে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া দারিদ্র্য মুক্ত মডেল গ্রাম গঠনে একটি প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প হাতে নিয়েছে।জাতির পিতার জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে দারিদ্র্য মুক্ত মডেল গ্রাম বিনির্মাণে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার চরপলিশা ও রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলাধীন রতিয়া গ্রাম দুটি মডেল হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ইতোমধ্যে গ্রাম দুটির বেজলাইন সার্ভের কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউএনডিপি কর্তৃক উদ্ভাবিত বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকের (এমপিআই) মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারসমূহকে নির্বাচন করা হয়েছে। এইসব দরিদ্র পরিবারসমূহকে দারিদ্র্য মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে জামালপুর জেলার চরপলিশা গ্রামের ১১০০ দরিদ্র পরিবারকে একটি করে আম গাছের চারা ও আটটি করে পেঁপে গাছের চারা সহ মোট ৯৯০০ টি চারা গাছ বিতরণ করা হয়।
আরডিএ বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (গবেষণা ও মূল্যায়ন) ড. শেখ মেহ্দী মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব তামিম আল ইয়ামিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেলান্দহ ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), মেলান্দহ।
জানতে চাইলে ড. মেহ্দী বলেন, আরডিএ বগুড়ার মহাপরিচালক জনাব খলিল আহমদের নেতৃত্বে একটি গ্রামকে দারিদ্র্য মুক্ত করার মতো কঠিন কাজ আরডিএর গবেষকবৃন্দ হাতে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গ্রামবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে যদি কাজ করা হয় তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, এই প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্পের পাশাপাশি আরডিএ মেলান্দহ সহ জামালপুর জেলার চারটি উপজেলা ও কুড়িগ্রাম জেলার চারটি উপজেলাতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে "কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাসকরণ" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৫,০০০ হতদরিদ্র পরিবারকে গরু ও গরু লালন-পালনের জন্য মাসিক বৃত্তি এবং ৮,০০০ সাধারণ দরিদ্র পরিবারের উদ্যোগী সদস্যকে আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন