জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় অন্য দেশের সঙ্গে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে বলে দেশ দুটির পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
চীনের জলবায়ু বিষয়ক প্রতিনিধি শি ঝেনহুয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু প্রতিনিধি জন কেরির কয়েকটি বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পরস্পরকে ও অন্য দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এটি গুরুত্বের সঙ্গে ও জরুরিভিত্তিতে সমাধান করা প্রয়োজন।’
এতে আরও বলা হয়, প্যারিস চুক্তির আওতায় তাপমাত্রা সীমাবদ্ধ রাখতে দুই দেশই ২০২০ দশকে কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা অব্যাহত রাখবে।
এছাড়া দেশ দুটি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে স্বল্প কার্বনভিত্তিক জ্বালারি ব্যবহারের জন্য অর্থ প্রদানেও সম্মত হয়েছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের জ্যেষ্ঠ জলবায়ু উপদেষ্টা লি শুয়ো এই বিবৃতিকে ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
জন কেরির এই সফর চীনে বাইডেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম কোনো সফর। মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তারা গত মাসে আলাস্কায় বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।
সাংহাইয়ের এই সফরে যাওয়ার আগে জন কেরি সিএনএনকে বলেছিলেন, জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় চীনের সহযোগিতা ‘পুরোপুরি জটিল’ বিষয়।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমাদের বড় ধরনের মতবিরোধ রয়েছে, কিন্তু জলবায়ু সঙ্কট সবার আগে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সপ্তাহে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দেবেন। চীন জানিয়েছে, তারাও এই সম্মেলনের জন্য অপেক্ষা করছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে যোগ দেবেন কিনা তা এখনও অনিশ্চিত।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন