লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে একা পেয়ে তিথী ইসলাম নামে এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে তিথী নিজেই পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
এর আগে সকালে সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের খিদিপুর গ্রামের আলী রাম হাওলাদার বাড়িতে তিথীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তিথী একই বাড়ির মৃত মো. আজিজ উল্যার মেয়ে। তিনি ঢাকার শমরিতা হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
অভিযোগটি পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার মো. মোস্তফা, রুহুল আমিন, ফাতেমা বেগম, মাহমুদ হোসেন রিয়াজ, রেজাউল করিম পারভেজ, মো. পিটন, বিথী আক্তার, শেফালী বেগম ও অজ্ঞাত ৩ জন।
অভিযোগ সূত্র জানায়, চিকিৎসক তিথী সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। খিদিরপুরে তাদের গ্রামের বাড়ি। তার বাবা আজিজ উল্যা মারা যাওয়ার পর থেকে বাড়ির জায়গা-জমি তিনি দেখাশোনা করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে তাদের জমি দখলে নেওয়ার পায়তারা করে আসছেন।
রোববার পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অভিযুক্তরা তার ওপর হামলা করেন। এ সময় অভিযুক্ত মাহমুদ হোসেন তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। অন্যরা তাকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন।
এ সময় তার গলা থেকে একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। একপর্যায়ে কয়েকটি সুপারি গাছও কেটে ফেলে তারা। পরে তিথীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে তিথী ইসলাম বলেন, আমি বাড়িতে একা ছিলাম। এ সুযোগে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। আমাদের জমি দখলে নিতেই তারা এ হামলা চালায়। আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা জানতে ঘটনাস্থল গিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন