![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
পুলিশ দেখেই রিকশার হুট তুলে দিয়ে হঠাৎ অসুস্থতার ভান মাটিডালি থেকে আসা এক মাস্কবিহীন নারীর, কোথায় যাচ্ছেন এমন প্রশ্নে জানান হাসাপাতালে যাচ্ছি। রাস্তায় যাকেই আটকানো হচ্ছে মুভমেন্ট পাশ না থাকলেও প্রেসক্রিপশন হাতে বলছেন ঔষধ আনতে যাচ্ছি, না হয় বাজারে যাচ্ছি কিংবা মসজিদে যাচ্ছি কিন্তু বাস্তবে কথার সাথে অধিকাংশেরই মিল পাওয়া যায়নি এই অবস্থা চলছে যেন মনে হয় মানুষ করোনা ভাইরাসের সাথে রীতিমতো হা-ডু-ডু খেলায় মেতে উঠেছে। জনগণের এমন হাজারো অযুহাতের মাঝেও কঠোর অভিযান অব্যাহত রেখেছে বগুড়া জেলা পুলিশ।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পাশাপাশি বগুড়া শহরে মঙ্গলবার দিনব্যাপী দেখা যায় পুলিশের কঠোর অভিযান। জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সদর পুলিশ ফাঁড়ি, সদর ট্রাফিক এর বিভিন্ন টিম দিনভর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালায় তবে মানুষকে ঘরমুখী করতে পুলিশকে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, সাতমাথা ছাড়াও শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়, বনানী মোড়, ফুলতলা, তিনমাথা রেলগেট, চারমাথা,বারপুর মোড়, মাটিডালি ও বড়গোলা সহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে যেখানে রিক্সা, অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল ও গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে যাতে বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করা অনেক মানুষই ঘরমুখী হয়েছে। তবে যেসব পেশার মানুষ জরুরী সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়াসহ মটর সাইকেল চালক ও গাড়ি চালকদের মটরযান আইনে মামলাও দেওয়া হয়েছে দিনব্যাপী।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ও জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র) ফয়সাল মাহমুদ জানান, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এবং সরকারি নির্দেশনা পালনে জেলা পুলিশের সকল সদস্যরা তাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তারপরেও মানুষের অসচেতনতার কারণে প্রতিদিন হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তিনি আরো বলেন, বগুড়ায় প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে করোনায় মুত্যু ও শনাক্তের হার বাড়ছে এমতাবস্থায় সকলের ব্যক্তিসচেতনতা খুবই জরুরী। তারপরেও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে মর্মেও জানান তিনি। তিনি বগুড়াবাসী সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। অভিযানে এসময় সদর থানার ওসি সেলিম রেজা, ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন