নন্দীগ্রামে শেষ হাসি মমতার | Daily Chandni Bazar নন্দীগ্রামে শেষ হাসি মমতার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২ মে, ২০২১ ১৮:০৯
নন্দীগ্রামে শেষ হাসি মমতার
অনলাইন ডেস্ক

নন্দীগ্রামে শেষ হাসি মমতার

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর অবশেষে নন্দীগ্রামেও জয় পেলেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সারাদিন ধরে অনিশ্চয়তা ছিল জয়টা তৃণমূল ছেঁড়ে যাওয়া শুভেন্দু পাবেন নাকি দলনেত্রী মমতা। একবার শুভেন্দ এগিয়ে যাচ্ছিলেন, পরক্ষণেই আবার মমতার এগিয়ে যাওয়ার খবর আসছিল। অবশেষে ভোট গণনার পর জানা গেল, ১২০১ ভোটের ব্যবধানে শুভেন্দু অধিকারীকে পরাজিত করেছেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়।

গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তারপর লাগাতার মমতা ও তার ভাইয়ের ছেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যান তিনি। সেই তুলনায় তৃণমূল অনেকটাই স্তিমিত ছিল। তবে অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ পেরেক পোতেন মমতাই। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, সেখান থেকেই ভোটে লড়বেন তিনি।

তারপরই নন্দীগ্রামের লড়াইয়ে রাজনীতির যাবতীয় সমীকরণ উল্টে যায়। ১০ মাস আনুষ্ঠানিক ভাবে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন মমতা। ওই দিনই নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হন মমতা। পায়ে আঘাত পান। তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ঝগড়া চরমে ওঠে।

এর দু’দিন পর, ১২ মার্চ নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেন শুভেন্দু। তারপর থেকে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা শুভেন্দুর হয়ে সেখানে সভা করে এসেছেন। সেই তুলনায় নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভা ছিল মমতাসর্বস্বই। তবে সেখানে জেতা নিয়ে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মমতা। এমনকি ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে যে দিন ভোটগ্রহণ, সেদিন সেখানে থাকলেও, শুভেন্দুর মতো সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরতে দেখা যায়নি তাঁকে। শুধু দুপুরে বয়াল এলাকায় ঝামেলার খবর পেয়ে প্রথম বাইরে বের হন মমতা। বিজেপি ভোট লুট করছে বলে তাকে জানান গ্রামবাসীরা।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুই ঘণ্টা বুথের ভেতর বসেছিলেন মমতা। সেই সময় তাকে তাচ্ছিল্য করে শুভেন্দু বলেন, ‘খেলা তো হয়ে গিয়েছে। ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। এখন আর কী করবেন।’ কিন্তু নন্দীগ্রামে ভোটের খেলায় মমতার কাছেই শেষমেশ গোল খেতে হল তাকে।

সূত্র : আনন্দবাজার

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন