তামাকজাত পণ্যকে জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে নেয়ার দাবি | Daily Chandni Bazar তামাকজাত পণ্যকে জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে নেয়ার দাবি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২১ ০৯:৩১
তামাকজাত পণ্যকে জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে নেয়ার দাবি
অনলাইন ডেস্ক

তামাকজাত পণ্যকে জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে নেয়ার দাবি

সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করে দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে সকল তামাকজাত পণ্যকে জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যাওয়া জরুরি।

রোববার (৯ মে) বেসরকারি মানবাধিকার ও গবেষণা সংস্থা ‘ভয়েস’ কর্তৃক আয়োজিত “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের কর বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব দাবি জানান।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান আলোচনা সভার আয়োজকদের সাধুবাদ জানান। একইসঙ্গে তিনি কর বৃদ্ধির সপক্ষে নিজের অবস্থান জোরাল বলে ঘোষণা দেন এবং তামাকের বিরুদ্ধে লড়াইকে সবাইকে সংঘবদ্ধ থাকতে আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘তামাক যে ক্ষতিকর পণ্য তা নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে ঘোষণা দিয়েছেন যে ২০৪০ এর মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করবেন তখন এটাই সুবর্ণ সুযোগ তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি করার’। তাই এ নিয়ে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস দেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, এক শতাংশ স্বাস্থ্য সারচার্জের পাশাপাশি এক শতাংশ সারচার্জ যদি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নেয়া যায়, তাহলে খুব ভালো হবে। প্রধানমন্ত্রী তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিন্তু সব কাজ তিনি একা করতে পারবেন না। যারা কাজ করতে পারবেন, তাদের এ বিষয়ে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।

সংসদ সদস্য শিরিন আখতার বলেন, ‘যা ক্ষতিকর সেটাকে ক্ষতিকর বিবেচনা করে শক্ত হাতে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সংসদকে ধূমপান মুক্ত করতে হবে। শুধু সংসদে না স্থানীয় পর্যায়ে, উপজেলা পর্যায়ে, ইউনিয়নের মেম্বারদের এ বিষয়ে কথা বলতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে এই নিয়ে কথা বলতে হবে এবং তামাক বিষয়ে আগামীতে নীতি নি হবে সেই বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। এই বাজেটে তামাকের কর বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আমাদের দেশে বহুস্তরবিশিষ্ট স্তর ব্যবস্থা বিরাজমান যেটা পৃথিবীর কোন দেশে নেই এবং তামাক কর থেকে সুফল না পাওয়ার পেছনে এটা একটা প্রধান কারণ। কোনো দেশে কখনো তামাকের ওপর কর আরোপের কারণে রাজস্ব কমেনি।

তাই আমাদের দেশেও তামাকের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করতে হবে। এটা করলে রাজস্ব কমবে না বরং এটা পরীক্ষিত যে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং এই প্রাপ্ত অতিরিক্ত রাজস্ব থেকে তামাক সেবী, তামাক চাষি, বিড়ি শ্রমিক এবং তামাক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

সাংবাদিক নাদিরা কিরন বলেন, তামাকের কারণে স্বাস্থ্য খাতে যে পরিমাণ ব্যয় হয় তা তামাক কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে করোনা মহামারির মধ্যে যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতন প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে ধূমপায়ীদের মধ্যে করোনার ইনফেকশনের ঝুঁকি অনেক বেশি তখন এই প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে, জীবনের কথা চিন্তা করে তামাকের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের মাধ্যমে তামাকের দাম বৃদ্ধি করে এই পণ্যকে মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।

ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদের সঞ্চালনায় এবং পিকেএসএফের চেয়ারপার্সন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্ত্বে ওয়েবিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, অসীম কুমার উকিল, টিভি টুডে’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, রোড সেফটি প্রোগ্রাম গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসী ইঙ্কিউবেটরের কান্ট্রি কোর্ডিনেটর ড শরিফুল আলম, প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম যুবায়ের, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাক ফ্রি কিডস এর লিড পলিসি এডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন