শাহজাদপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা হরিলুট। | Daily Chandni Bazar শাহজাদপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা হরিলুট। | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২১ ২২:০৩
শাহজাদপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা হরিলুট।
নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির অভিযোগ।
নয়ন আলী, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

শাহজাদপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের
কোটি কোটি টাকা হরিলুট।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের ৪০ দিনের কাজে শ্রমিকের তালিকা প্রস্তুতে অনিয়ম, শ্রমিক অনুপস্থিতি, তদারকির অভাব ও হরিলুটের পরিকল্পনায় প্রকল্প ভেস্তে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিক তালিকায় ভূয়া নাম, অনুপস্থিত শ্রমিকদের হাজিরা দেখিয়ে কাজ শেষ না করেই শ্রমিকদের মজুরির টাকার বিরাট অংশ সংশ্লিষ্টরা হরিলুট করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে গৃহীত প্রকল্পে ৪০ দিন কাজ করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ প্রকল্পে ২০ থেকে ২৮ দিন কাজ করেই কাগজে কলমে সমাপ্তি দেখানো হয়েছে। সিংহভাগ প্রকল্পেই আংশিক কাজ করে মেয়াদ শেষের আগে ২৮ দিনের মাথায় প্রকল্পগুলোর কাজ স্থগিত করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এছাড়া শ্রমিকের তালিকা প্রস্তুতে সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে বদলী হিসেবে শিশু শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার কাজ করানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের বাস্তবায়নাধীন কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট ৫ হাজার ৫শ ৫৫ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি বিধান অনুযায়ী, ওইসব প্রকল্পের একজন শ্রমিক প্রতিদিন ৩৫ ঘনফুট মাটি কাটার বিনিময়ে ২০০ টাকা হারে মজুরি পাবেন। 
বিভিন্ন ইউনিয়নে ওইসব প্রকল্পের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, পোতাজিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ৫ টি প্রকল্পে ৫১৬ জন লেবারের বিপরীতে কাজ করছেন পোতাজিয়াতে ৬৫ জন, আলোকদিয়ারে ৩৯ জন, মাদলা ৫৮ জন, লাউতারা ৩৮ জন, বড়ালবাড়ি ১৮ জন। অর্থাৎ ৫১৬ জন শ্রমিক কাজ করার থাকলেও সরজমিনে পাওয়া যায় মাত্র ২১৮ জন শ্রমিক। বাকি ২৯৮ জন শ্রমিক কোথায় কাজ করছে তার কোন খবর জানেন না ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বেপারি ও প্রকল্পের পিআইসি। 
পোরজনা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পে ৫৯৩ জন লেবারের বিপরীতে কাজ করছেন জামিরতা ৬৬ জন, জিগারবাড়িয়া ৬০ জন, বাচরা ৮৬ জন, বড় মহারাজপুর ৩৬ জন, ছোট মহারাজপুর ৩৮, পোরজনা ৩৪ জন। অর্থাৎ ৫৯৩ জন শ্রমিক কাজ করার থাকলেও সরজমিনে পাওয়া যায় মাত্র ৩২০ জন শ্রমিক।

দৈনিক চাঁদনী বাজার /  সাজ্জাদ হোসাইন