কঠোর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ায় মানুষের ঢল, নিয়ন্ত্রণে নিজেই মাঠে নেমেছেন পুলিশ সুপার | Daily Chandni Bazar কঠোর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ায় মানুষের ঢল, নিয়ন্ত্রণে নিজেই মাঠে নেমেছেন পুলিশ সুপার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২১ ২৩:৩০
কঠোর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ায় মানুষের ঢল, নিয়ন্ত্রণে নিজেই মাঠে নেমেছেন পুলিশ সুপার
বিভিন্ন যানবাহনে ৮৩টি মামলায় ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা
সঞ্জু রায়:

কঠোর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ায় মানুষের ঢল,
নিয়ন্ত্রণে নিজেই মাঠে নেমেছেন পুলিশ সুপার

কঠোর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেই রবিবার বগুড়া শহরজুড়ে দেখা গেছে নানা শ্রেণীপেশার মানুষের ঢল। শহরের সাতমাথাসহ থানা মোড়, দত্তবাড়ি, বড়গোলা, জলেশ্বরীতলা, চেলোপাড়া, টিনপট্টিসহ বিভিন্ন স্থানে রীতিমতো লক্ষ্য করা গেছে ভয়াবহ যানযটের চিত্র। বগুড়া সদর ও পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ চললেও সামনে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনকে সামনে রেখে শহরে সাধারণ মানুষের এমন উপড়ে পড়া ভীড় নিয়ন্ত্রণে দিনব্যাপী হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রাফিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তবে পুলিশের কঠোর অভিযানে দিনব্যাপী বিভিন্ন যানবাহনে ৮৩টি মামলায় ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে যাতে একটু দেরীতে হলেও ফাঁকা হয়েছে শহর। 

কারো হাতে প্রেসক্রিপশন, কেউ রক্ত দিয়ে আসছে আবার কেউ বা বাজার করতে যাচ্ছে এমন নানা কারণে ও অকারণে তীব্র রোদের মাঝেও এই ভীড় নিয়ন্ত্রণে সকালে নিজেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার)। মাত্র আড়াই ঘন্টার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযানে অকারণে হেলমেট, রেজিষ্ট্রেশন ও লাইসেন্সবিহীনভাবে গাড়ি নিয়ে বাহিরে বের হওয়ার কারণে এবং সরকারি বিধিনিষেধ পালন না করার অপরাধে বিভিন্ন যানবাহনে ৪২টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয় ১লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা। এছাড়াও শহরে রিক্সা, মোটর সাইকেল ও গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। যেসব মানুষ জরুরী সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত বা চিকিৎসা সেবা নিতে বের হয়েছে শুধুমাত্র তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযান চলাকালীন সময়ে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও মানুষ নানা অজুহাতে বিনা কারণে প্রতিদিন বাহিরে বের হচ্ছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই জনস্রোতকে নিয়ন্ত্রণে তারা সর্বোচ্চ শক্তিতে কাজ করে যাচ্ছেন যা সামনে আরো কঠোর হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সারাদিনের অভিযানের প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে রবিবার দিনব্যাপী পুলিশের অভিযান চলমান ছিল। করোনার যে ভয়াবহতা তা মানুষকে বোঝাতে বোঝাতে পুলিশ সদস্যরা ক্লান্ত হয়ে পরছে এমনকি পুলিশ কি অভিযান চালাচ্ছে এটা দেখার জন্যেও বগুড়ার কিছু উৎসুক জনগণ ভীড় সৃষ্টি করে যা সত্যিই হতাশাজনক। তবে তিনি জানান দায়িত্ব পালনে তাদের কোন ত্রুটি ছিলোনা। সারাদিনে বিভিন্ন যানবাহনে করা ৮৩টি মামলায় ডিজিটাল মিটারে জরিমানা আদায় করা হয়েছে মোট ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা এছাড়াও বিধিনিষেধ চলাকালীন এই কয়দিনে ধরা এখনো ৪৫০টি অটোরিক্সা/ইজিবাইক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে বগুড়ায় এমন অভিযান আরও কঠোরভাবে পরিচালিত হবে মর্মে জানান এই কর্মকর্তা। 
রবিবারের অভিযানে পুলিশ সুপারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যথাক্রমে আলী হায়দার চৌধুরী (প্রশাসন), আব্দুর রশীদ (অপরাধ), মোতাহার হোসেন (ডিএসবি), ফয়সাল মাহমুদ (সদর সার্কেল), সদর থানার ওসি সেলিম রেজা, জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক ও ট্রাফিক পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন