দাদন ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পড়ে নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে সুদের টাকা পরিশোধ করলেও পুনরায় সুদের টাকার দাবি করছেন দাদন ব্যবসায়ী। নিজের সর্বস্ব হারিয়ে টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে দাদন ব্যবসায়ীদের ভাড়াটিয়া লোকজন ও তাদের হুমকি ধুমকীতে বাড়ি যেতে পারছেনা আদিবাসী পরিবার। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ওপেন উড়াও নামে আদিবাসী এক যুবক বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ থেকে জানাযায়, প্রায় ৩ বছর পুর্বে ওপেন উড়াও নামে আদিবাসী এক যুবক পাঁচবিবি বালিঘাটা বাজার এলাকার শুকুর আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের থেকে ২৮ হাজার টাকা সুদের মাধ্যমে নিয়ে ৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। টাকা গ্রহনকালে ব্যাংকের ফাঁকা চেক, ফাকা স্ট্যাম্প ও জমির দলিলে স্বাক্ষর নেয় দাদন ব্যবসায়ী। টাকা পরিশোধ করেলেও আমার কাগজপত্র ফিরিয়ে না দিয়ে উক্ত চেকে ও স্ট্যাম্পে যথাক্রমে ৭ লক্ষ, ৫ লক্ষ ও ৩ লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে আমাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। এছাড়াও উপজেলার সুলতাপুর গ্রামের জয়েন্তী রানী পাহান নামে আদিবাসী এক নারী তার খপ্পড়ে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।
এবিষয়ে দাদন ব্যবসায়ীর শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমার নামে যে অভিযোগ হয়েছে তা মিথ্যা। তবে জমি বিক্রির জন্য আমার থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.বরমান হোসেন বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন