
বগুড়া সদর উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে করোনা টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় আপাতত প্রথম ডোজের টিকা প্রদান বন্ধ রয়েছে। বুধবার থেকে চীনের তৈরি সিনোফার্মের ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান করা হবে। আর সিনোফার্মের টিকা প্রাপ্তির পর প্রথম ডোজের টিকা আবারো প্রদান শুরু হবে।
বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, মঙ্গলবার সদর উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে সিনোফার্মের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান বন্ধ ছিল। বুধবার থেকে সিনোফার্মের ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান করা হবে। আর সিনোফার্মের টিকা প্রাপ্তির পর প্রথম ডোজের টিকা আবারো প্রদান শুরু হবে।
বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন এর কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বগুড়া সদরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল কেন্দ্রে সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, টিকা পাওয়া মাত্র আবারও টিকা প্রদান করা হবে। বগুড়া সদর উপজেলার ৩টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান বন্ধ থাকলেও জেলার উপজেলা পর্যায়ে যেসব স্থানে টিকার মজুদ রয়েছে সেসব কেন্দ্রে আগের মতই টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর আগে মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত ১২ আগস্ট সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরর্তীতে ১৩ আগস্ট শুক্রবার ঢাকা থেকে নতুন করে ৩১ হাজার ২০০ ডোজ টিকা আসায় পরদিন ১৪ আগস্ট শনিবার এবং ১৬ আগস্ট সোমবার টিকা প্রদান করা হয় বগুড়া সদরে। এদিকে অ্যাস্ট্রোজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রদান করা হবে। গত ১৯ জুন বগুড়ায় মেডিকেল শিক্ষার্থী ও স্টাফদের প্রয়োগের মাধ্যমে সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে নির্দিষ্ট বয়সের সাধারণ মানুষকে টিকার আওতায় নেওয়া হয়। এছাড়া গত ৭ আগস্ট জেলার ১০৯টি ইউনিয়নের সবগুলোতে এবং দুুটি পৌরসভায় গণটিকা কার্যক্রম চালানো হয়। বগুড়ায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সিনোফার্মের মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বগুড়া সদরেই ৫৫ হাজার ৪৯৭ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন