বগুড়ার যৌতুকের দায়ে স্ত্রী এলেমা বিবিকে হত্যা করার দায়ে স্বামী আব্দুর রাজ্জাকের (৪৯) ফাঁসি এবং সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের- ২ বিচারক নুর মো. শাহরিয়ার কবির দীর্ঘ শুনানির শেষে এই রায় দেন। এ মামলার আসামী জেলার কাহালু উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক পলাতক রয়েছে।

বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের- ২ এর পিপি আশেকুর রহমান সুজন জানান, বিচারে এলেমা বিবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয় প্রমানিত হয়। ময়নাতদন্তেও একই বিষয় উঠে এসেছে। এসব বিষয়ের আলোকে বিচারক আসামীকে ফাঁসির আদেশ দেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রীকে খালাস দেয়া হয়।
ফাঁসির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি জানান, ২০০৮ সালের ২১২ নাম্বার মামলায় আসামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের- ২ আদালত। এই মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী পলাতক রয়েছে। 
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার কাহালু উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক তার প্রথম স্ত্রী এলেমা বিবিকে ৪০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ২০০৭ সালের ২৪ ডিসেম্বরে নিজ বাড়িতে সকাল সাতটা থেকে আটটার দিকে এলেমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে এ বিষয়ে প্রথমে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয় কাহালু থানায়। কিন্তু ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধ বিষয়টি আসায় নিহতের বড় ভাই আদালতে হত্যা মামলা করেন। ২০০৮ সালের ৩ মার্চ মামলা হিসেবে তদন্তের দায়িত্ব পুলিশকে দেয়া হয়। এই মামলায় ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর ওই বছরের ১৩ জুলাই চার্জশিট গঠন করে আদালতে জমা দেয়। চার্জশিটে আব্দুর রাজ্জাক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করা হয়। সেই মামলায় শুনানি চলছিল। মামলায় আসামী আব্দুর রাজ্জাক জামিন নিয়ে পলাতক আছেন। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন