
বগুড়ায় পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ও বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন শিবগঞ্জ উপজেলার আঁচলাই গ্রামের ইয়াছিন আলী প্রামানিকের ছেলে মো: রাশেদুল ইসলাম প্রামানিক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে তিনি আড়াই শতক জমি ক্রয় করে তার মধ্যে দেড় শতক জমি বুঝে পেয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন। বাঁকি এক শতক জমি একই এলাকার বাদল আকন্দের দখলে ছিল। ঐ একশতক জমি বাদল আকন্দের কাছ থেকে চাইতে গেলে তিনি বিভিন্ন ধরণের তালবাহানা করতে থাকেন। ঐ এক শতক জমি চাইতে গেলে গত ১৪ আগস্ট তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বাদলসহ তার সহযোগি ১০/১২ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে রাশেদুলের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করতে থাকে। তাকে বাঁচাতে রাশেদুলের স্ত্রী, ছেলে ও তার মা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিট করে আহত করে বাদল ও তার সহযোগিরা। বাদল গংরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রকার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। মারপিটের পর তারা রাশেদুল ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকী ও বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেয় রাশেদুল। থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে জনৈক রশিদের ধান ভানা মিলের মধ্যে ধরে নিয়ে পুনরায় মারপিট করে বাদল ও তার সহযোগিরা। পরে গত ১৬ আগষ্ট দিবাগত গভীর রাতে রাশেদুলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ সময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। এর পরের দিন থানায় আবারো অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্তে আসে এবং তাদেরকে থানায় যেতে বলে। ঐদিন থানায় যাবার চেষ্টা করা হলে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থানায় যেতে বাধা দেয় ফলে তারা থানায় যেতে না পেরে এবং মামলা দিতে ব্যর্থ হয়ে গত বুধবার বগুড়ার শিবগঞ্জ আমলী আদলতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এঘটনার পর থেকে রাশেদুল পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এলাকায় গেলে যে কোন সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণহানি ঘটাতে পারে। এমতাবস্থায় রাশেদুল তার পরিবারের নিরাপত্তা ও বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে ক্ষতি সাধনের বিচারের জন্য প্রশাসনের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন