বগুড়ায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:০০
বগুড়ায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
ষ্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি 
বৃদ্ধিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

বগুড়ার সারিয়াকান্দির উপজেলায়  যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। লোকালয়ে পানি কোথাও কোথাও কোমর পর্যন্ত দেখা গেছে। যমুনা নদীর পাড়ে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলায় বেশ কিছু জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এবার বন্যা দেরিতে হওয়ার কারণে পাট আগেই কেটে ফেলায় পাটের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।  
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপর দিকে বাঙ্গালী নদীর পানি বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলী জমি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বন্যায় উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, বোহাইল, কাজলা, চন্দনবাইশা, সারিয়াকান্দি সদর, হাটরশরপুর, কুতুবপুর, কামালপুর ইউনিয়নের  গ্রামের ১২ হাজার ৭শ পরিবারের ৫০ হাজার ৮শ  মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে জি আরের ৫২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে ।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত  ৩টি উপজেলা সারিয়াকান্দিতে ১৩০ মেট্রি টন চাল ও ২ লাখ টাকা, সোনাতলায় ২০ মেট্রিকট টন চাল ও ধুনটের ২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় রোপা আমন, আমন বীজ তলা, শাকসবজি, আখ, ও মাসকলয়ের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ও জমি ও চাষিদের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। 
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ১৩৫ হেক্টর রোাপা আমন, ১২ হেক্টর বীজতলা, ১০ হেক্টর সবজি ২০ হেক্টর জমির মাসকালাইসহ সর্বমোট ১৭৭ হেক্টর ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম কবির জানান, ২৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি উচ্চ বিদ্যালয় ১টি মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যায় ৪৪টি পুকুরের ১০ মেট্রিক টন মাছ বন্যায় ভেসে গেছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন