অনেক ভোগান্তির পর আমার মা-ভাইরা উল্লাস করছে, আমি খুশি : মেসি | Daily Chandni Bazar অনেক ভোগান্তির পর আমার মা-ভাইরা উল্লাস করছে, আমি খুশি : মেসি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:২৭
অনেক ভোগান্তির পর আমার মা-ভাইরা উল্লাস করছে, আমি খুশি : মেসি
অনলাইন ডেস্ক

অনেক ভোগান্তির পর আমার মা-ভাইরা উল্লাস করছে, আমি খুশি : মেসি

মাসদুয়েক আগে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস গড়েছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিওনেল মেসির দল। কিন্তু করোনাভাইরাসজনিত বিধিনিষেধের কারণে নিজেদের দেশে সে অর্থ শিরোপা উদযাপন করতে পারেনি তারা।

অবশেষে আরও দুই মাস অপেক্ষা করে নিজ দেশের দর্শকদের সামনে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পেলেন লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোরে বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। একাই গোল তিনটি করেছেন মেসি।

প্রায় ১৮ মাস পর এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে দর্শক ফিরেছে আর্জেন্টিনার মাঠে। দর্শকদের সামনে দুর্দান্ত জয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শিরোপা উল্লাস করেন মেসিরা। ঐতিহাসিক মারাকানায় যেভাবে শিরোপা উঁচিয়ে উল্লাস করেছিলেন মেসি ও তার সতীর্থরা, ঠিক সেভাবেই এবার এল মনুমেন্টালে নিজেদের সমর্থকদের সামনে শিরোপা তুলে ধরেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।

এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মেসি, তার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে থাকে। জাতীয় দলের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে না পারার যে তীব্র যন্ত্রণা এবং কোপা জিতে সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির আনন্দেই হয়তো অঝোরে কাঁদতে থাকেন মেসি।

তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এটির অপেক্ষায় ছিলেন। ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেসির ভাষ্য, ‘আমি সত্যিই চাইছিলাম যেনো এই সাফল্য উপভোগ করতে পারি। দীর্ঘদিন ধরে এর অপেক্ষায় ছিলাম। আমি এটি খুঁজেছি এবং স্বপ্ন দেখেছি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এটি যেভাবে এসেছে তা এক অনন্য মুহূর্ত।’

এসময় নিজের পরিবারের কথাও মনে করিয়ে দেন মেসি। জাতীয় দলের হয়ে তিনি শিরোপা জিততে পারছিলেন না ভুগতে হয়েছিল মা এবং ভাইদেরও। সেই তারা এবার এল মনুমেন্টালে যোগ দিয়েছিলেন মেসিদের শিরোপা উল্লাসে।

নিজ দেশের মানুষদের সামনে শিরোপা উদযাপনের অনুভূতি জানিয়ে মেসি বলেন, ‘এখানে শিরোপা উল্লাস করার চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। আমার মা, আমার ভাইয়েরা এখানে আছে। তারা অনেক বেশি ভুগেছে। এখন তারা উল্লাস করছে। আমি অনেক খুশি।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন