পাওনা টাকা চাওয়ায় অপহরণের পর শিবগঞ্জের মোফাজ্জলকে হত্যা: গ্রেফতার ৩ | Daily Chandni Bazar পাওনা টাকা চাওয়ায় অপহরণের পর শিবগঞ্জের মোফাজ্জলকে হত্যা: গ্রেফতার ৩ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৩৯
পাওনা টাকা চাওয়ায় অপহরণের পর শিবগঞ্জের মোফাজ্জলকে হত্যা: গ্রেফতার ৩
ঢাকা থেকে লাশ উদ্ধার করলো বগুড়া জেলা পুলিশ
সঞ্জু রায়, স্টাফ রিপোর্টার:

পাওনা টাকা চাওয়ায় অপহরণের পর
শিবগঞ্জের মোফাজ্জলকে হত্যা: গ্রেফতার ৩

অপহরণের ২৩ দিন পর বগুড়া থেকে নিখোঁজ হওয়া শিবগঞ্জের পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন (৪৮) এর গলিত মরদেহ আশুলিয়া থেকে উদ্ধার করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকার আশুলিয়া থানার মারামাং এলাকার একটি কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, একই উপজেলার ভাসুবিহার গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রুবেল (৩০), ইসাহাকের ছেলে মিলন (৪৫) ও মৃত অমির উদ্দিনের ছেলে সামাদ (৫০)।
নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী রাশেদা বেগমের দেওয়া লিখিত অভিযোগ এর ভিত্তিতে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের লক্ষীপুর চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন গত ১৯ আগস্ট নিখোঁজ হন। পান ব্যবসার সুবাধে জেলার ভিতরে ও বাহিরে বিভিন্ন স্থানে তা ক্রয়ের জন্য তিনি যাতায়াত করতেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালে তিনি পান কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর রাত আনুমানিক ৯টায় মুঠোফোনে তার স্ত্রীকে জানিয়েছিল তিনি মোকামতলায় আছেন। এরপর থেকে মোফাজ্জল নিখোঁজ হয়ে যায় ও মুঠোফোন বন্ধ থাকে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে গত ২৩ আগস্ট শিবগঞ্জ থানায় জিডি করেন তার স্ত্রী।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীর সাথে কথা বললে জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশের চৌকস একটি টিম কাজ করতে শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে জানা যায়, নিহত মোফাজ্জলের সাথে ওই গ্রামের রুবেল বেশি সময় কাটাতেন। ঘটনার পর থেকে রুবেলও এলাকায় ছিল না। ৯ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট থেকে রুবেল গ্রামে আসলে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবেল স্বীকার করে পাওনা টাকা পাওয়ার জেরে তারা মোফাজ্জলকে খুন করেছে। ১৯ আগষ্ট পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোফাজ্জলকে ডেকে নিয়ে মোকামতলা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আশুলিয়ার  কাঁশবনে গলা কেটে মোফাজ্জলকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দিয়ে আসে। তিনি আরও জানান, রুবেলের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকি দুই অভিযুক্তকেও গ্রেফতার ও লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃদের হত্যা মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন