বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এক সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় আদালত বর্জন করেছেন ওই আদালতের আইনজীবীরা। বিচারকসুলভ আচরণ না করার অভিযোগ জানিয়ে ওই আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। তবে ২০ মিনিট পর স্বাভাবিক হয় আদালতের কার্যক্রম। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বেশ কয়েকজন আইনজীবী জানান, আইনজীবী মজিবুর রহমান দুলাল তার মক্কেলের মামলা নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওঠেন। এ সময় আদালতে অনেক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তবে হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী করোনাকালীন আদালত চলাকালে ৬ জন আইনজীবী থাকতে পারবেন। এ কারণে বিচারক আবু শামীম আজাদ সিনিয়র আইনজীবী মজিবুর রহমান দুলালকে আদালত থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, যা বিচারকসুলভ আচরণ নয়। এরপরই ওই আদালতের সব আইনজীবী আদালত বর্জন করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফয়েজুল হক ফয়েজ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যার বেশি আইনজীবী আদালত কক্ষে ছিলেন। অতিরিক্ত আইনজীবী থাকায় বিচারক এবং আইনজীবীরা বাইরে চলে গিয়েছিলেন। এটি বড় কোনো ঘটনা নয়। ২০ মিনিট পর আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, সকালে আদালত চলাকালে আমাদের এক আইনজীবী মজিবুর রহমান দুলালের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন বিচারক। প্রতিবাদ স্বরূপ তাৎক্ষণিক কক্ষে থাকা আইনজীবীরা সবাই আদালত বর্জন করেন। পরে আদালতে ফিরে গেলেও সভা করে আইনজীবী সমিতি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন