ওটিটি প্ল্যাটফরম নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী | Daily Chandni Bazar ওটিটি প্ল্যাটফরম নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৪৯
ওটিটি প্ল্যাটফরম নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক

ওটিটি প্ল্যাটফরম নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, তথ্য মন্ত্রণালয় ওটিটি প্ল্যাটফরম বিষয়ে নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ ‘রেগুলেটরি জব’; নীতি, নীতিমালা তৈরি করে এই গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশকে এগিয়ে নেওয়া। ওটিটি প্ল্যাটফরম এটি একটি ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা। কিন্তু ওটিটি প্ল্যাটফরমে সিনেমা, নাটক, ওয়েব সিরিজ বা কোনো কন্টেন্ট রিলিজ করতে হলে এখনো অনুমোদনের ব্যবস্থা নেই। ইতোমধ্যে নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছি। ওটিটি প্ল্যাটফরমের কন্টেন্ট এত বিস্তৃত এবং ব্যাপক যে, সেন্সর বোর্ডের মাধ্যমে সেন্সর করা দুরূহ কাজ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কারণ বছরে ৫০টি বা ১০০টি সিনেমা রিলিজ হয়, সেটি সেন্সর করা সহজ। কিন্তু ওটিটির হাজার কন্টেন্ট সেন্সর করা সহজ কাজ নয়। সে কারণে ভারতসহ অন্যান্য দেশে যেভাবে করা হচ্ছে সেভাবে আমরা একটি নীতিমালা খসড়া তৈরি করেছি যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করব।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে গণমাধ্যমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যুক্ত হয়েছে। মূলধারার গণমাধ্যমগুলো সঠিকভাবে কাজ করেছে কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে করোনাকালেও অনেক গুজব রটানো এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, আইপি টিভির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করাসহ অনেকগুলো কাজ ইতোমধ্যেই করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিদেশে বসে বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষ নির্দিষ্ট কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে মাঝে মধ্যেই নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের কাছ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা পাওয়া প্রয়োজন সব সময় সে ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এ সময় উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে প্রচণ্ড আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেটির প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম এবং ফরাসি আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অন্যান্য দেশ থেকেও যারা এসব কাজগুলো করছেন তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির ভুলের পুনরাবৃত্তি আত্মহননমূলক : সাংবাদিকরা এ সময় বিএনপির ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি’ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ভুলের পুনরাবৃত্তি তাদের জন্য আত্মহননমূলক হবে। কারণ বিএনপি এ কথা বহু আগে থেকেই বলে আসছিল এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের নতুন বই পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করেছিল। এরপরও তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, দেশে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও তারা এ ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়েছিল। পরে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি মনে করি, ২০১৮ সালের নির্বাচনকে শুরু থেকেই তারা সিরিয়াসলি নিয়ে যদি অংশগ্রহণ করত হয়তো আরও ভালো ফলাফল করতে পারত। নির্বাচনের বাকি যখন সোয়া দুই বছর বা তার চেয়ে বেশি, তখন একই ধরনের তর্জন-গর্জন আমরা দেখতে পাচ্ছি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন