সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না যুক্তরাষ্ট্র | Daily Chandni Bazar সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না যুক্তরাষ্ট্র | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৩২
সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক

সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক বা উন্নয়নের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা করছে না এবং অন্য দেশকেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে না।

গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিরিয়ার সঙ্গে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং পুরোপুরি খুলে দিয়েছে জর্ডান। এই ঘটনার পর রয়টার্সের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, তারা কি সিরিয়া এবং জর্ডানের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের এই বিষয়টিকে সমর্থন করবে কিনা। তারপরেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার কথা জানানো হলো।

দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়ার অর্থনীতির উন্নয়ন এবং দেশটিকে পুনরায় সংহত করার জন্য আরব দেশগুলোর প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে জর্ডান।

বুধবার এক ইমেইল বার্তায় পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, আসাদ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক বা সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবে না যুক্তরাষ্ট্র। আমরা অন্য কোনো দেশকেও এমন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছি না। সিরিয়ার জনগণের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়েছে বলে বাশার আল আসাদ সরকারের ওপর অভিযোগ আনা হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, আমাদের কাছে আসাদ সরকারের কোনো বৈধতা নেই। এই মুহূর্তে সিরিয়া সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

এটা ছিল বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিরিয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী মন্তব্য। তার সিরিয়া নীতিতে মূলত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্থায়ী পরাজয় নিশ্চিত করা এবং সিরিয়ার জনগণকে মানবিক সহায়তা প্রদানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে সিরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ২০১২ সাল থেকে দেশটিতে কোনো মার্কিন কূটনৈতিক অবস্থান করছেন না।

গৃহযুদ্ধের সময় আরব দেশগুলো সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে যুদ্ধ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এই যুদ্ধে কাতার, সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতসহ মার্কিন নেতৃত্ত্বাধীন আরব জোট আল আসাদ সরকারের বিরোধী দলগুলোকে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ সালে আরব আমিরাত এবং সিরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন হয়। সম্প্রতি জর্ডানও একই পথে হাঁটছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন