লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহ সমর্থকদের এক বিক্ষোভে গুলি চালানোর ঘটনায় অন্তত ছয় জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হওয়া এ ঘটনায় একদিনের শোকদিবস ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকতি। আজ শুক্রবার দিনব্যাপী শোক পালন করছে লেবাননের জনগণ। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের পর এখন দেশটিতে অঘোষিত যুদ্ধবিরতি চলছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কাউকে তাদের স্বার্থে দেশকে জিম্মি করতে দেবো না।’
বৃহস্পতিবার লেবাননের বিচারপতি তারেক বিতারকে বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণের তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিজবুল্লাহ ও আমাল এই বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দল দু’টি ওই বিচারপতিকে 'পক্ষপাতদুষ্ট' হিসেবে অভিযুক্ত করছে। বিক্ষোভে অংশ নিতে হিজবুল্লাহর শত শত সমর্থক কালো পোশাক পরে জাস্টিস প্যালেসের বাইরে জড়ো হন।
গত বছরের ৪ আগস্ট লেবাননের বৈরুত বন্দরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বন্দরের ১২ নম্বর ওয়্যারহাউজ গুদামে অবহেলার সঙ্গে সংরক্ষিত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে সংগঠিত এই বিস্ফোরণে বন্দর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। ওই ঘটনায় ২১৯ জন নিহত ও ছয় হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন। পুরো বন্দর বিধ্বস্ত হওয়ায় দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন