পশ্চিমবঙ্গে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরী | Daily Chandni Bazar পশ্চিমবঙ্গে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরী | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১০:২৫
পশ্চিমবঙ্গে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরী
অনলাইন ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বাংলাদেশি এক কিশোরী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় বাগদা থানা পুলিশ। জানা যায় ওই কিশোরী কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানোয় বাংলাদেশের শরিয়তপুর জেলার পুটিয়াকান্দির ১৭ বছরের এক কিশোরী ভারতে নিয়ে আসে। পরিবারের আর্থিক টানাপড়েন দূর করতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা বাগদার হরিহরপুরে আসে সে। শরিফুল মল্লিক নামে এক যুবকে তাকে কাজ জোগাড় করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই কিশোরী।

বাগদা পুলিশ বলছে, শরিফুল মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবৈধপথে ভারতে আসে ওই কিশোরী। সেখানে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) শরিফুল মল্লিক (৩৮) ও তার সঙ্গী মহসিন বিশ্বাস (২৮) কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। গ্রামের বাসিন্দারা কিশোরীকে ধর্ষণের এই খবর থানায় পৌঁছে দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের এবং দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ওই কিশোরীকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে বাগদায় নিয়ে আসেন শরিফুল ও মহসিন। ওই দুই যুবক অবৈধপথে বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে লোকজনকে পারাপারে সহায়তা করেন। পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছিলেন তারা।

মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবীরা বলছেন, ‌‘এই দুই যুবক দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা এপার থেকে ওপার এবং ওপার থেকে এপারে লোকজনকে যাতায়াতে সহায়তা করতেন। কাজ দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশি কিশোরীকেও পশ্চিমবঙ্গে আনেন তারা।’

স্থানীয়রা বলছেন, নিজের বাড়িতেই ওই কিশোরীর থাকার ব্যবস্থা করেন শরিফুল। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ জোগাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। মিথ্যা আশ্বাসে শরিফুলের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল ওই কিশোরী। এরপর তাকে বাড়ি থেকে একটু দূরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে যান শরিফুল। তার সঙ্গে ছিলেন বন্ধু মহসিন। সেখানেই তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।

মহকুমা আদালতের সরকারি সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ওই কিশোরী তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সবকিছু প্রতিবেশীদের জানায়। তাদের কথা মতো থানায় গিয়ে দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। শুনানি শেষে আদালত দুই অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন