
ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্কের পর প্রেমিকের সাথে ঝগড়া করে প্রেমিকা নাহিদা খাতুন (১৮) আত্মহত্যা করেছে। প্রেমিকার আত্মহত্যার সংবাদে প্রেমিক মোঃ জাকারিয়া হাসান বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চতুর্থ তলঅ থেকে লাফ দিয়ে দ্বিতীয় তলার কার্ণিশে আটকে গিয়ে গুরত্বর আহত হয়েছে। রোববার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় এঘটনায় অঅহত প্রেমিক জাকারিয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে কুষ্টিয়া জেলা সদরের দহকুলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে জাকারিয়া হাসান (২০) এর সঙ্গে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার রায়কালী গ্রামের আক্তার হোসেন বাবুর মেয়ে এবং বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী নাহিদা খাতুনের পরিচয় হয়। তাদের পরিচয়টি প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। রোববার কুষ্টিয়া থেকে বগুড়ায় এসে প্রেমিকার সাথে দেখা করে। এক পর্যায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। নাহিদা লেখাপড়া করার কারণে বগুড়া শহরের বৃন্দাবন পাড়ার একটি ছাত্রী নিবাসে বসবাস করতো। ছাত্রী নিবাসে ফিরে নাহিদা মনের ক্ষোভে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেব সেবন করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে বান্ধবীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রেমিক জাকারিয়াকেও খবর দেয় তার বান্ধবীরা। খবর পেয়ে জাকারিয়া ছুটে যায় হাসপাতালে। নাহিদার পরিবারের সদস্যরাও সন্ধ্যার মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারা যায় নাহিদা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের চতুর্থতলা থেকে লাফ দিলে দ্বিতীয় তলার কার্ণিশে গিয়ে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। তার দুই পায়ের হাটুঁ ভেঙ্গে যাওয়া ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা ঝগড়া করে একজন আত্মহত্যা করেছে। আরেকজন আত্মহত্যার উদ্দ্যেশ্যে ৪তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে দ্বিতীয় তলায় পড়ে প্রাণে বেঁচে গেছে। নাহিদার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন