বগুড়ার সাবগ্রামে লক্ষ্মী প্রতীমা ভাঙচুর | Daily Chandni Bazar বগুড়ার সাবগ্রামে লক্ষ্মী প্রতীমা ভাঙচুর | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৫৭
বগুড়ার সাবগ্রামে লক্ষ্মী প্রতীমা ভাঙচুর
ষ্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ার সাবগ্রামে
লক্ষ্মী প্রতীমা ভাঙচুর

বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে লক্ষ্মী প্রতীমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতের কোন একসময় লক্ষ্মী প্রতীমা ভাঙচুর করা হয়েছে মর্মে এলাকাবাসী জানায়। হঠাৎ এ ঘটনায় বগুড়াতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনেকে বেশ চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরেছে যদিও পুলিশ দ্রুততম সময়ে দোষীদের গ্রেফতার করার কথা বলেছে এবং একই সাথে সকলকে নির্বিঘ্নে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে মঙ্গলবার থেকে পূজা চলছিল। তাদের মতাদর্শ অনুযায়ী বুধবার পূর্ণিমা তিথি থাকায় রাতে লক্ষ্মী প্রতীমা বিসর্জ্জন দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরের পাশে পুকুরে লক্ষ্মী প্রতীমা বিসর্জ্জন দেওয়ার কথা ছিল। তবে সকালে স্থানীয় এক মুদি দোকানদার বিপুল দেবনাথ ও কিছু মুরব্বি এসে মন্দিরে প্রতীমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পেয়ে '৯৯৯' ও স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানায়।

 এ ঘটনার পর ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হক এবং জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম-সেবা। পরিদর্শনকালে জেলার এই দুই কর্মকর্তা দ্রুততম সময়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের কথা জানান। এছাড়াও উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে যারা এই সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর অপপ্রয়াস করছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। এছাড়াও মন্দির কেন্দ্রীক সিসি ক্যামেরা লাগানোসহ মন্দিরের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যথাক্রমে আলী হায়দার চৌধুরী (প্রশাসন) এবং মোতাহার হোসেন (ডিএসবি), সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা, জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ, সাবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ্ নয়ন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া পৌর কমিটির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশীষ রায় প্রমুখ।

এ প্রসঙ্গে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা জানান, উক্ত ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার দায়ে মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জন দেবনাথ বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন তবে ঘটনাটি জানার পর থেকেই পুলিশের একাধিক ইউনিট অত্যন্ত নিবিড়ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দোষীদের খুব দ্রুত গ্রেফতার করা হবে মর্মে আত্মবিশ্বাসের সাথে সদর ওসি সকলকে নির্বিঘ্নে থাকার আহ্বান জানান। তবে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পরলেই তিনি ৯৯৯ এ কল অথবা পুলিশকে অবহিত করার জন্যে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।   

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন