সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয় যারা রাতের আঁধারে মন্দিরে হামলা করে তারাই সংখ্যালঘু | Daily Chandni Bazar সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয় যারা রাতের আঁধারে মন্দিরে হামলা করে তারাই সংখ্যালঘু | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২১ ২৩:০০
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয় যারা রাতের আঁধারে মন্দিরে হামলা করে তারাই সংখ্যালঘু
বগুড়ায় পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদী মানববন্ধনে বক্তারা
ষ্টাফ রিপোর্টার

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয় যারা রাতের
আঁধারে মন্দিরে হামলা করে তারাই সংখ্যালঘু

কথিত ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে শারদীয় দুর্গাপূজায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে বগুড়ার ১২টি উপজেলার প্রায় এক হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ অংশ নেন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া পৌর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সঞ্জু রায়ের পরিচালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি দিলীপ কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, সংগঠনের সাবেক সভাপতি অমৃত লাল সাহা, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক অসীম দাস, সংগঠনের জেলা শাখার নেতা  তাপস কুমার নিয়োগী, জাতীয় ক্রীড়াবিদ গোপাল তেওয়ারী, সমর দাস, প্রদ্যুত কুমার চাকী, বিলাসী রানী, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার রায়, সংগঠনের পৌর কমিটির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ, সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার তালুকদার, ইসকন শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক  লক্ষিপ্রতি অদ্যুৎ, সংগঠনের বিভিন্ন উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে শিবগঞ্জের রাম নারায়ণ কানু, সদরের উজ্জ্বল সরকার, সারিয়াকান্দির চন্দন চক্রবর্তী, গাবতলীর ডা: চন্দ্র শেখর রায়, আদমদিঘীর বাপ্পা দেবনাথ, নন্দীগ্রামের সুকুমার, ধুনটের বিকাশ সাহাসহ অন্যান্য উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয় রাতের আঁধারে যারা মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর করে তারাই এদেশে সংখ্যালঘু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার বীজ বপন করেছিলেন। যেটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বক্তারা বলেন, ধর্মীয় পরিচয়ের আগে আমাদের সকলের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ এবং আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। সনাতনী ধর্মাবলম্বী যারা আছি তারা ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের সময় দেশ ত্যাগ করেনি, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও দেশ ছেড়ে যাইনি। তার অর্থ এই যে আমরা এই দেশেই থাকতে চাই। তাহলে কেন আমাদের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে। কেনই বা আমাদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, দোকান ও বসতবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে সারা বাংলাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বক্তারা সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের প্রচলিত আইনে দৃশ্যমান শাস্তির দাবি জানান।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন