শেরপুরে ফসলী জমি নষ্ট করে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা | Daily Chandni Bazar শেরপুরে ফসলী জমি নষ্ট করে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৩২
শেরপুরে ফসলী জমি নষ্ট করে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

শেরপুরে ফসলী জমি নষ্ট করে মাটি ও
বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

বগুড়ার শেরপুরে আবাদী জমি নষ্ট করে মাটি কর্তন ও  ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু লাভলু মিয়া। ফলে আবাদি জমির টপ সয়েল ধ্বংসসহ উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। অবৈধভাবে ভূমি ধ্বংস ও বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করতে গেলে নানাভীতি ও হুমকী দিয়ে আসছে ওই ভূমিদস্যু ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এক  জমির মালিক আতাউর রহমান। এ লক্ষে শুক্রবার (২২অক্টোবর) দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উপজেলার খন্দকারটোলার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভূক্তভোগী কৃষক আতাউর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের শুভগাছা গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ লাভলু মিয়া এক বালু ও মাটি ব্যবসায়ী। আমি একজন প্রান্তিক কৃষক হিসেবে ৪ বিঘা ফসলী জমিতে ফসল চাষ করে সংসার পরিচালনা করে আসছি।  উপজেলার শুভগাছা মৌজায় ভোস্তা বিল এলাকায় আমার জমির পাশে তাহার ফসলী জমি থেকে অবৈধভাবে জমির মাটির টপসয়েল কেটে এবং সেস্থানে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করিতেছে। যাহার ফলে আমার ফসলী জমির মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং পাশের জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়াও এলাকায় দাপট ও প্রভাব খাটিয়ে ওই ভূমিদস্যু গত কয়েক বছর ধরে  উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে সাবাড়  এবং বিক্রয় করছেন। অজ্ঞাতকারণে কেউ ওই ভূমি দস্যুর অবৈধকাজের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। 
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি আমার জমি ভেঙ্গে পড়ায় ও ক্ষতিসাধন হওয়ায় ওই ভূমিদস্যু লাভলু মিয়ার কাছে প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকে নানাভাবে হুমকী-ধামকি দিয়ে আসছে। এতে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীণতাসহ আবাদী জমির ক্ষতিসাধন নিয়ে শংকায় রয়েছি। ওই ভূমিদস্যু লাভলু মিয়ার অরাজকতা ও অবৈধ প্রভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ওই কৃষক পরিবার।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন