![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
একাধিক ধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্তদের রাসায়নিকভাবে খোজা করে দেওয়ার শাস্তির বিধান রেখে পাকিস্তানের সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে। দোষীদের দ্রুত সাজা কার্যকর এবং কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে দেশটির সংসদে বুধবার এই বিল পাস হয়। খবর সিএনএন ও খালিজ টাইমস'র।
সম্প্রতি দেশটিতে নারী ও শিশু ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনা এবং অপরাধ দমনে সরকারের প্রতি জনগণের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির মুখে নতুন এই শাস্তির বিধান রেখে বিলটি পাস করা হয়েছে। যদিও এমন বিল পাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন পাকিস্তানের জামায়াত-ই-ইসলামির নেতা ও সংসদ সদস্য মুশতাক আহমেদ। তিনি এই আইনকে অনৈসলামিক ও শরীয়া-বিরোধী বলেও দাবি করেছেন। তার মতে, শরীয়তে খোজাকরণের কথা বলা নেই। এর চেয়ে ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে চড়ানোই উচিত।
এদিকে বিলে বলা হয়েছে, ‘রাসায়নিক খোজাকরণ এমন এক প্রক্রিয়া, যেটি করা হলে একজন ব্যক্তি তার জীবনের যে কোনো সময়ে যৌন মিলনে অক্ষম হয়ে পড়েন। নির্দিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ডের ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে এই খোজাকরণ বাস্তবায়ন করা হবে। আর এই শাস্তি নির্ধারিত হবে আদালতে।’
উল্লেখ্য, রাসায়নিক পদ্ধতিতে খোজাকরণের অর্থ হলো, অণ্ডকোষ বা পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার বদলে দেহে ওষুধ প্রয়োগ করে আসামিকে চিরস্থায়ীভাবে খোজা করে দেওয়া। যার ফলে সে কখনোই যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হতে পারবে না। দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে ধর্ষণের সাজা হিসেবে এটি প্রচলিত রয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন