মধ্যরাতের বিদ্রোহে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে মেঘালয়ের এক ডজন নেতা | Daily Chandni Bazar মধ্যরাতের বিদ্রোহে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে মেঘালয়ের এক ডজন নেতা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৬
মধ্যরাতের বিদ্রোহে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে মেঘালয়ের এক ডজন নেতা
অনলাইন ডেস্ক

মধ্যরাতের বিদ্রোহে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে মেঘালয়ের এক ডজন নেতা

কংগ্রেসে আবারও বড়সড় ভাঙন ধরালো তৃণমূল। বুধবার রাতে (২৪ নভেম্বর) মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা আরও ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে রাজ্যটিতে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৭ থেকে কমে একলাফে ছয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসেবে মেঘালয়ে এখন প্রধান বিরোধী দল মমতা ব্যনার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস।

এনডিটিভির খবর অনুসারে, স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে মেঘালয়ের স্পিকার মেটবাহ লিংডোহর কাছে দল পরিবর্তনের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের এক ডজন বিধায়ক। এর মাত্র একদিন আগেই দিল্লিতে মমতার হার ধরে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের কীর্তি আজাদ ও অশোক তানওয়ার এবং জনতা দলের (ইউনাইটেড) সাবেক নেতা পবন ভার্মা।

২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুকুল। বর্তমানে তিনি সেখানকার বিরোধী দলনেতা। পূর্ব গারো পাহাড়ের প্রভাবশালী এ নেতা দল ছাড়ায় মেঘালয় কংগ্রেসের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মমতা ব্যনার্জী বলেছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে যেকোনো রাজনৈতিক দলের নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে চাইলে তাদের সাদরে স্বাগত জানাবে তার দল।

কয়েক মাস ধরেই দলের পরিসর বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই মতে আসাম, গোয়া, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হরিয়ানার পর এবার মেঘালয়েও দেখা গেলো দলবদলের ঘটনা। আর এগুলোর প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই সবচেয়ে বড় আঘাতটি লেগেছে ভারতের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের গায়ে।

কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ভালো বলেই জানা যায়। মোদীবিরোধী জোট গড়তে তাদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। তবে সম্প্রতি তাদের মধ্যে কিছুটা দূরত্বের আভাস স্পষ্ট।

এবার দিল্লি গেলেও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেননি মমতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার বক্তব্য ছিল, প্রতিবার কেন দেখা করতে হবে? সংবিধানে তো এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন