![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
ভেঙে পড়ছে হেলিকপ্টার। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কনট্রাক্টর শিবকুমার। ভাই স্থানীয় চা বাগানে কাজ করেন। আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে গেলেন। দেখলেন, তিনটি আধ পোড়া দেহ পড়ে রয়েছে। তিন জনের মধ্যে একজন তখনও জীবিত। অস্ফুট স্বরে পানি চাইছেন। শিবকুমার দিশেহারা। তাঁর কাছে যে এক ফোঁটা পানি নেই! তাঁর সঙ্গে আর যাঁরা ছিলেন সবাই মিলে ধরাধরি করে একটি চাদরের উপর রাখলেন মানুষটিকে। উদ্ধারকারী দল এসে নিয়ে গেল তাঁকে । তখনও শিবকুমার জানতেন না ওই ব্যক্তির নাম বিপিন রাওয়াত। দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক। -আনন্দবাজার
তিন ঘণ্টা পর এক উদ্ধারকর্মী জানালেন ওই ব্যক্তির নাম। জানার পর আক্ষেপে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছেন শিবকুমার। রাতে ঘুম হয়নি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, যে মানুষটা দেশের জন্য এত করলেন, তিনি শেষ বেলায় একফোঁটা পানিও পেলেন না। ভেবে সারা রাত ঘুমতে পারিনি। বুধবার বেলা ১২টা ৪০ নাগাদ কুন্নুরে একটি চা বাগানে ভেঙে পড়ে সেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে সেনা বাহিনী। কপ্টারটি ভেঙে পড়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়। ১৪ জন সওয়ারির মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মারা যান সেনা সর্বাধিনায়ক। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান তাঁর স্ত্রী মধুলিকা।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন