
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে তাবিজের প্রভাবে নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন বাবা। সঙ্গে নিয়েছেন তার বন্ধুকেও। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন বর্ণনাই দিয়েছেন ধর্ষক আব্দুল খালেক।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক ধাম জানান, ওই কিশোরীর মায়ের সঙ্গে আব্দুল খালেকের পারিবারিক বিষয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াও হয়। এতে অভিমান করে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর আসামি খালেক তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে কতিপয় হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ সংগ্রহ করেন। আসামির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আসামি দাবি করেছে তাবিজের প্রভাব তার ওপর পড়েছে। ফলে তার মাথা নষ্ট হয়ে গিয়ে তিনিসহ (পিতা) বন্ধু কাদির মিলে একাধিকবার নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
এর আগে অভিযুক্ত বাবাকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে পুলিশ। এ মামলায় অপর আসামি (বাবার বন্ধু) আব্দুল কাদিরকে দুপুরেই কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ, গত ১ ডিসেম্বর ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে বাবা ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর বিকেলে বাবাসহ দুইজনকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাতেই কিশোরী বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন