
নীলফামারীর জলঢাকায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিনস্থ কলেজগুলোর নামে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে যেখানে ছাত্র/ছাত্রীদের পরীক্ষা সহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে শিক্ষা বোর্ড। এ সুবিধাগুলো ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে পৌছে না দিয়ে উল্টো তাদের কাছ থেকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা বাবদ ফি নেওয়া হয়েছে ৩শ থেকে ৪শ ২০ টাকা। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় জলঢাকা বিএমআই কলেজ সহ উপজেলার ছয়টি কারিগরি কলেজের মোট ১৯শ ৯২জন ছাত্র/ছাত্রী প্রাকটিক্যাল পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। তার মধ্যে জলঢাকা বিএম কলেজের ১২শ, মীরগঞ্জ বিএম কলেজ ১শ ৬২জন, বাহাদুরদর্গা আউয়াল নজিয়া বিএম কলেজ ১শ ৪৪জন, কাজিবাড়ী আদর্শ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ ১শ ৬২, জলঢাকা বে-সরকারি টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ ১শ ৭২জন ও গোলনা শহিদ সৃতি বিএম কলেজ ১শ ৫২জন। ১ম বর্ষ এবং ২য় বর্ষের মোট ১৯শ ৯২ জন ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক অভিযোগকারী ছাত্র/ছাত্রীরা বলেন, আমাদের কাছ থেকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য ৩শ ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ১শ ২০ টাকা নিয়েছে শিক্ষকরা। এ বিষয়ে জলঢাকা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবেদ আলী’র সাথে মুঠো ফোন এবং সরজমিনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি তোমাকে ডেকে নেবো। বিষয়টি জলঢাকা বিএম কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসানকে মুঠোফোনে অবগত করালে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন