
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম বলেছেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। লাখো বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে পেয়েছি আমরা লাল সবুজের এই পতাকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত এই দেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রকৃত ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বর্তমান প্রজন্মের সকলকে জানতে হবে এবং নিজেদের অন্তরে ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জেনে এবং সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারলেই গড়ে উঠবে সোনার বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সকালে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক ৩দিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপোরোক্ত কথাগুলি বলেন। অনুষ্ঠানে এসপি সুদীপ চক্রবর্ত্তী আরো বলেন, এই প্রদর্শণী শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জানতে অনেকটাই স্পষ্ট ধারণা দিবে যা ইতিবাচক উদ্যোগ। তিনি শিক্ষার্থীদের নানা অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমিক হয়ে দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান।
পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনুর সভাপতিত্বে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান হাসিবুর রহমান বিলু, বগুড়া প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুস সালাম বাবু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ, অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা, কলেজ শাখা শিক্ষক প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, স্কুল শাখা শিক্ষক প্রতিনিধি আনজুয়ারা খাতুন, আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আহবায়ক গৌরাঙ্গ কুমার সাহা, সদস্য ফেরদৌস আলম, এনামুল জাহিদ তিতাস প্রমুখ।
অপরদিকে একই দিন বেলা ১২টায় বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনুর সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ। উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ ঝুনুর নেতৃত্বে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ছোট থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে বগুড়া পুলিশ লাইন্স অ্যান্ড কলেজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর এমন নানা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ প্রতিবছর নিয়ে থাকেন যাতে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা।