
বগুড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বগুড়া প্রেসক্লাবসহ গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে জেলার সকল শ্রেণি-পেশার প্রায় সাত হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বগুড়ার মুক্তির ফুলবাড়ীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন। এর আগে সূর্যোদয়ের সময় বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির দিনব্যাপী কর্মসূচীর সূচনা হয়। পরে সকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ স্মারক গেইট উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। সকাল ৮ টার দিকে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সালামী গ্রহণ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২ টার দিকে বগুড়া জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা করা হয়। এছাড়াও পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য প্রায় ১৩৯ জন কে বগুড়া জেলা পুলিশের পক্ষে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সকলের হাতে উক্ত অনুষ্ঠানে উপহার তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম।
দিনটিতে দুপুর আড়াইটার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজউদ্দিন স্টেডিয়ামে কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এছাড়াও শহীদ চান্দু স্টেমিয়ামে বিকেল ৪ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে জেলার সকল শ্রেণি-পেশার প্রায় সাত হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং শপথ শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে রাত ৯ টার দিকে বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে বিজয় দিবসের আতশবাজি ফোটানো হয়েছে বিজয়ের আনন্দে।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণীয় করে রাখার জন্য চিত্রাংকন, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচি পালন এবং পুরস্কার বিতরণ করে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন