ধুনটের সেই মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রনে চলছে বালু ও মাটির ব্যবসা! | Daily Chandni Bazar ধুনটের সেই মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রনে চলছে বালু ও মাটির ব্যবসা! | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৩৬
ধুনটের সেই মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রনে চলছে বালু ও মাটির ব্যবসা!
ধুনট বগুড়া প্রতিনিধি

ধুনটের সেই মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রনে
চলছে বালু ও মাটির ব্যবসা!

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নে বালু ও মাটির ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হেলাল উদ্দিন শামীম। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক পরিচয়ের ছায়াতলে থেকে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন তিনি।

ধুনট উপজেলার পূর্ব পাশে যমুনার র্তীরবর্তী ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের যমুনার চরাঞ্চলে নৌ পথে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন এবং বালু ও মাটির ব্যবসার নিয়ন্ত্রকও বনে গেছেন তিনি।
তবে বিগত দিনে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ পুলিশের হাতে কয়েক দফা গ্রেফতার হলেও অনেক সময় পরিচয় গোপন করেই চলেন শামীন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের হলেও নাম পরিচয় গোপন করেছেন তিনি। তবে বিগত দিনে কয়েক বার জেল খেটে আসলেও কমেনি তার দাম্ভিকতা। তার দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষও।
বৃহস্পতিবার হেলাল উদ্দিন শামীমকে দেখা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ও ভুতবাড়ি গ্রামের যমুনা নদীর বন্যা নিয়নন্ত্রন বাধের নিচ থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছিলেন। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন সাংবাদিকরা পরিদর্শনে গেলে তাদেরকে হুমকিও প্রদান করে শামীম।
তবে নিজেকে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি দাবি করে হেলাল উদ্দিন শামীম বলেন, কোন সাংবাদিক তার পয়েন্টের ছবি তুলতে হলে তার অনুমতি প্রয়োজন। এছাড়া তিনি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই বালু ও মাটির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শামীম ও তার লোকজন যমুনার চরাঞ্চল থেকে একাধিক লঞ্চ ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন এবং সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটিও জোর করে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশংঙ্কাও রয়েছে। তাই এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
তবে ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেকলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা রিমান বলেন, গত ৩ মাস আগেই ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তাই শামীমের সঙ্গে কমিটির কোন নেতৃবৃন্দের যোগসূত্র নেই।   
তবে এব্যাপারে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, কেউ কোন পরিচয় ব্যবহার করলেই অপরাধীর তালিকা থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই। এসব বিষয়ে পুলিশের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কেউ মাটি বা বালু উত্তোলন করলে এবং এলাকার ক্ষতি করলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন