![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আরিফ মোহাম্মদ। তিনি সোমবার (১০ জানুয়ারি) দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে জাপানের রাজধানী টোকিওতে তিনি প্রথম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের হয়ে কাজে যোগ দিলেন। তিনি সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। জোবায়েদ হোসেন গত ২২ ডিসেম্বর দায়িত্ব ছাড়েন।
গত বছরের ২২ অক্টোবর তিনি রাজধানী আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনার হিসেবে কাজে যোগ দেন। অল্প সময়ের জন্য তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে আরিফ মোহম্মদ সোমবার কাজে যোগদানের পর দূতাবাসে কর্মরত সব অংশের কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এই রাজ্যে কাজ করার সুযোগ পেয়ে তিনি নিজেও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে মৈত্রীর সম্পর্ক রয়েছে তা তিনি আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবেন।
আরিফ মোহাম্মদ বলেন, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।
কাজেই এই বিশেষ তিনিও আগরতলায় গুরুত্বপূর্ণ এই কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। সহকারী হাইকমিশনার হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যে কাজে যোগদান করায় এ নিয়ে রাজধানী আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনার হিসেবে তার দ্বিতীয় পোস্টিং হয়েছে।
দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার পরই সহকারী হাই কমিশনারের অফিসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নবনিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদসহ অন্যান্যরা।
আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বাণীও পাঠ করা হয়েছে। পরবর্তীতে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। নবনিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার ছাড়াও ওই সভায় যোগ দেন সহকারী হাই কমিশনার অফিসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, রেজাউল হক চৌধুরীসহ বিশিষ্টজনরা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও সাংবাদিক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ড. দেবব্রত দেবরায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিকসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মীরাও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন