টোঙ্গায় বিধ্বস্ত অঞ্চলে পৌঁছানো যাচ্ছে না | Daily Chandni Bazar টোঙ্গায় বিধ্বস্ত অঞ্চলে পৌঁছানো যাচ্ছে না | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারী, ২০২২ ১৫:৪৩
টোঙ্গায় বিধ্বস্ত অঞ্চলে পৌঁছানো যাচ্ছে না
অনলাইন ডেস্ক

টোঙ্গায় বিধ্বস্ত অঞ্চলে পৌঁছানো যাচ্ছে না

ভয়াবহ অগ্নুৎপাত এবং সুনামিতে বিপর্যস্ত টোঙ্গা। সরকারিভাবে তিনজনের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বহু মানুষ নিখোঁজ।

শনিবার প্রথমে পানির তলার আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত হয়। তারপরেই ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়ে টোঙ্গা দ্বীপে। যার জেরে ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় মূলত দ্বীপের পশ্চিমাংশ। তবে গোটা দ্বীপেই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অগ্নুৎপাতের পর ৫০ ফুট ঢেউ আছড়ে পড়ে টোঙ্গার পশ্চিম উপকূলে। এর ফলে পশ্চিম উপকূলের বসতিগুলি কার্যত জলের তলায় তলিয়ে গেছে। ম্যাঙ্গো, ফোনোইফুয়া, নমুকা দ্বীপুঞ্জ কার্যত ধ্বংস ধ্বংস হয়ে গেছে। ম্যাঙ্গোয়ার একটি বাড়িও আস্ত নেই। ফোনোইফুয়ায় দুইটি বাড়ি এখনো দাঁড়িয়ে আছে বলে খবর মিলেছে। নমুকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী অফিস ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রথম বিবৃতি পেশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, যেটুকু খবর মিলেছে, তাতে এখনো পর্যন্ত তিনজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক। প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেই পৌঁছানো যায়নি। নৌবাহিনী জাহাজ নিয়ে গিয়ে উদ্ধারকাজের চেষ্টা চালাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের দুইটি নৌবাহিনীর জাহাজও উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।

১৯৯১ সালে ফিলিপাইন্সে এই মাপের অগ্নুৎপাত হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। তখনো বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন