গ্রিস সীমান্তে ঠান্ডায় জমে ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু | Daily Chandni Bazar গ্রিস সীমান্তে ঠান্ডায় জমে ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১০:৫১
গ্রিস সীমান্তে ঠান্ডায় জমে ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক

গ্রিস সীমান্তে ঠান্ডায় জমে ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

গ্রিস-তুরস্ক সীমান্ত থেকে ১২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে তুরস্কের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। দেশটির এডির্না প্রদেশের ইপসালা গ্রামে ঠান্ডায় জমে পড়েছিল মরদেহগুলো।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ তথ্য জানান দেশটির মন্ত্রী সুলেমান সোয়লু। এছাড়াও ঘটনাস্থলের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।

সুলেমান সোয়লু বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডায় খোলা আকাশে নিচে পড়েছিলেন ১২ জন। কারও গায়ে পাতলা জামা। কারও সে-টুকুও ছিল না। জুতাও ছিল না। ঠান্ডায় জমে ১১ জনের মৃত্যু হয়। একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। নিহতরা সবাই অভিবাসনপ্রত্যাশী।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গ্রিসের সীমান্তরক্ষীরা অভিবাসনপ্রত্যাশীর আশ্রয় না দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন। ২২ জনের একটি দলের সঙ্গে ছিলেন তারা। গ্রিসের সীমান্ত পেরিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছিল দলটি।

তুরস্কের মন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, প্রবল ঠান্ডায় জামা, জুতা কেড়ে নিয়ে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হত্যার সামিল।

গ্রিসের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও (ইইউ) দায়ী করেন তিনি। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠাঁই না দিলেও তুরস্কের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ‘ফেটো’ অপরাধীদের গ্রিস আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ আঙ্কারার। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ হয়ে যাওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের মূলে ছিল এ ফেটো বাহিনী।

ইউরোপের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও। তিনি বলেছেন, ‘প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে চান। ইউরোপের এমন কোনো সংকট নেই। তবু আমরা এভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ছুড়ে ফেলতে পারি না।’

ভৌগোলিকভাবে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন করেছে তুরস্ক। দেশটির এই অবস্থানগত সুবিধার কারণে এশিয়া, আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা স্থলপথে তুরস্ক হয়েই ইউরোপে ঢোকার পথ খোঁজেন। তবে অনেক সময় মানবপাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারান অনেকে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন