
কুমিল্লার হোমনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে প্রায় অর্ধশত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মী থানায় অবস্থান নেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক একএম সিদ্দিকুর রহমান আবুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা থানায় যান।
তারা ছাড়াও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রধান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মিয়া ইমন, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলী নেওয়াজ, দিদার আহমেদ, মো. আলাউদ্দিন, যুবলীগ নেতা মো. লুৎফর রহমান লাখ মিয়া, মো. ইউনুস, মো. ইয়াসিন ও শাজু পল্টু প্রমুখ।
পুলিশ ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, ৩১ জানুয়ারি হোমনার স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ (মেরী) বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে একটি ছবিতে কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবলীগ নেতা খবির খান, মৎস্যজীবী লীগ নেতা এরশাদ খন্দকার ও গাজী তানভীরের বিরুদ্ধে ১ ফেব্রুয়ারি যুবলীগ নেতা রোবেল আহম্মেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য থানায় উপস্থিত হন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বলেন, ‘যে অভিযোগে নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, একই অভিযোগ যে কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আনা যায়। জনস্বার্থে বা ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করার অধিকার সবারই আছে। এ মামলার মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে ‘
হোমনা থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়েছে। নিরপেক্ষভাবে আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হলে অভিযুক্তরা মুক্তি পাবেন।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন