![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
কানাডায় কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ট্রাকচালকদের বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত আছে। দেশজুড়ে চলমান এই বিক্ষোভ থামাতে এবার জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করতে চান দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ক্রমাগত বিক্ষোভের প্রভাব মোকাবিলায় প্রথমবারের মতো এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। জরুরি ক্ষমতায় (ইমার্জেন্সি অ্যাক্ট) সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। তবে এখনই হয়তো তার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।
এই আইনের মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্য সাধারণ নাগরিকদের চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কানাডার সরকার বলছে, তারা অবৈধ বিক্ষোভ থামাতে বিক্ষোভকারীদের সব ধরনের আর্থিক সহায়তা বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা এই বিক্ষোভে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর আগে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন শহরটির মেয়র জিম ওয়াটসন। তিনি বলেন, দিনকে দিন পুলিশের চেয়ে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়ায় শহরটি ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, চলমান বিক্ষোভ শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাকচালকদের জন্য কোভিড টিকা বাধ্যতামূলক করা ও বিভিন্ন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিংয়ে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, এটা কানাডার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং লোকজনের চাকরির সুরক্ষা দেওয়া বিষয়। আমাদের প্রতি তাদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার বিষয়। তিনি বলেন, এই আইন অল্প সময়ের জন্য জারি থাকবে।
১৯৮৮ সালে এই আইন পাস হয়। যখন কোনো জরুরি এবং জটিল পরিস্থিতি দেখা যায় যা কানাডার অন্য কোনো আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তখনই জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করার পক্ষে এই আইন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন