মিথ্যা আর প্রতারণার মাধ্যমে ৭ রাজ্যে বিয়ে করেছেন ১৪টি। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তিকে সোমবার ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একের পর এক বিয়ে করেছেন ওই ব্যক্তি। এরপর এসব নারীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়েছেন। ওড়িশার কেন্দ্রপারা জেলার পাতকুরা পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি।
তবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভুবনেশ্বরের পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৮২ সালে প্রথম বিয়ে করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০০২ সালে। এই দুই স্ত্রীর ঘরে তার পাঁচ সন্তান আছে।
২০০২ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বেশ কিছু মেট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এরপর তার আগের দুই স্ত্রীকে না জানিয়েই তিনি আরও বেশ কয়েকজন নারীকে বিয়ে করেন।
সর্বশেষ তিনি যে নারীকে বিয়ে করেছেন তাকে নিয়ে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে থাকতেন। ওই নারী দিল্লির একটি স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি কোনো ভাবে তার স্বামীর আগের বিয়ের কথা জেনে যান এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ বলছে, সিংগেল, মধ্য বয়সী বিশেষ করে ডিভোর্সি নারীদের টার্গেট করতেন ওই ব্যক্তি। কারণ এমন নারীরাও বিভিন্ন মেট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটে সঙ্গী খুঁজে বেড়ান। এরপর তিনি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করতেন আর সুবিধা বুঝে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পালাতেন।
তিনি তার স্ত্রীদের জানিয়েছিলেন তিনি একজন চিকিৎসক। এই ভুয়া পরিচয়ে তিনি আইনজীবী, চিকিৎসক এবং উচ্চ শিক্ষিত নারীদের বিয়ে করেছেন। এমনকি প্যারা মিলিটারি ফোর্সের এক নারী সদস্যও তার কাছে প্রতারিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি, পাঞ্জাব, আসাম, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাসহ ৭টি রাজ্যে তিনি ১৪টি বিয়ে করেছেন। তার প্রথম দুই স্ত্রী ওড়িশার। পুলিশ জানিয়েছে, তার সর্বশেষ স্ত্রী গত জুলাইয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই নারী জানান, ২০১৮ সালে দিল্লিতে তাকে বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি। পরে তাকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে, তার স্বামী এর আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ১১টি এটিএম কার্ড, চারটি আধার কার্ড এবং আরও কিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন