ইউক্রেনে সেনা ও বিদ্রোহীদের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar ইউক্রেনে সেনা ও বিদ্রোহীদের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১৫:৩০
ইউক্রেনে সেনা ও বিদ্রোহীদের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেনে সেনা ও বিদ্রোহীদের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের অভিযোগ

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সরকারি বাহিনী গোলাবর্ষণসহ অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্রোহীরা। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। ইউক্রেনের এ ঘটনায় রুশ বাহিনী যেকোনো সময় জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কিয়েভ ও বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার একে অপরের প্রতি গোলাবর্ষণের অভিযোগ করে। শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি গ্রামে ফের গোলাবর্ষণ হয়েছে বলে দাবি করেছে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের জন্য যেকোনো ধরনের অজুহাত খুঁজছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় সেনাদের নতুন সংঘর্ষকে মস্কো সামরিক অভিযানের সেই অজুহাত হিসেবে তুলে ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অবশ্য ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, স্বঘোষিত দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টায় পেট্রিভস্কে গ্রাম লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী। আরেকটি স্বঘোষিত বিদ্রোহী প্রজাতন্ত্র লুহানস্ক শুক্রবার সকালে কয়েকটি মর্টার শেল নিক্ষেপের কথা জানিয়েছে।

তবে কিয়েভ সরকার বলেছে, শুক্রবার সকালে বিদ্রোহীরা অন্তত চারবার কামান বা মর্টার হামলা চালিয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে, বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।

কিয়েভ ও রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে প্রায় আট বছর ধরে যুদ্ধ চলছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে নিয়মিতই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে চলতি সপ্তাহে যুদ্ধের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এ সপ্তাহে রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ পূর্ব ইউক্রেনের দুটি রুশ-সমর্থিত অঞ্চলকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে পুতিন সরকারকে ওই পথে না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন