![logo](https://dailychandnibazar.com.bd/assets/importent_images/logo.png)
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে শুরু করেছে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কিয়েভ সরকার তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো সময় আক্রমণ চালাতে পারে অভিযোগ করে বেসামরিক নাগরিকদের রাশিয়ায় আশ্রয় নিতে বলেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। অঞ্চলটিতে পরপর দুদিন সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাল্টাপাল্টা গোলাবর্ষণের অভিযোগের পর এমন ঘোষণা এলো। খবর এএফপির।
স্বঘোষিত দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতা ডেনিস পুশিলিন শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বলেন, আজ থেকে রাশিয়ার উদ্দেশে গণপ্রস্থানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমে নারী, শিশু ও বয়স্কদের সরিয়ে নেওয়া হবে।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি অভিযোগ করেন, কিয়েভ সরকার মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোতে হামলার পরিকল্পনা করছে। পুশিলিনের দাবি, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিকট ভবিষ্যতে তার সৈন্যদের আক্রমণ করার নির্দেশ দেবেন।
পূর্ব ইউক্রেনের আরেক বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল লুহানস্কের নেতা লিওনিড পাসেচনিকও তার লোকজনকে ‘প্রাণ বাঁচাতে’ রাশিয়ায় চলে যেতে বলেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের বাসিন্দাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাশিয়ায় চলে যান। শুধু যারা যুদ্ধপ্রস্তুতির আদেশ পেয়েছেন বা প্রধান ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করছেন, তারা থাকবেন। ‘নিজ ভূমি রক্ষায় সক্ষম সব পুরুষকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন রুশপন্থি এ নেতা।
পুশিলিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ ও প্রতিবেশী রোস্তভ অঞ্চল সাধারণ মানুষদের আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে এবং তাদের থাকার জন্য জায়গাও প্রস্তুত রেখেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন থেকে আশ্রয় নেওয়া লোকদের ১০ হাজার রুবল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন, রোস্তভ কর্তৃপক্ষ সরে আসা লোকদের জন্য আবাসন, খাবার ও চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করবে। শুধু তা-ই নয়, পুতিন তার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রী আলেকজান্ডার চুপ্রিয়ানকে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রজাতন্ত্রগুলোর সীমান্তবর্তী রোস্তভ অঞ্চলে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সরকারি বাহিনী গোলাবর্ষণসহ অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্রোহীরা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের জন্য যেকোনো ধরনের অজুহাত খুঁজছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় সেনাদের নতুন সংঘর্ষকে মস্কো সামরিক অভিযানের সেই অজুহাত হিসেবে তুলে ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন