ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে রাশিয়া | Daily Chandni Bazar ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে রাশিয়া | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১৫:৩৬
ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে রাশিয়া
অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে রাশিয়া

রাশিয়া বলছে, তারা খুব শিগগির ইউক্রেনে নিযুক্ত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে। মঙ্গলবার দেশটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে দেশটির পার্লামেন্টে বিদেশে নিজ দেশের সেনা মোতায়েনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুমোদন দেন আইনপ্রণেতারা। তারপরেই এমন ঘোষণা সামনে এলো। মস্কো বলছে, ইউক্রেনে অবস্থানরত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সুরক্ষা দিতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। খবর এএফপির।

মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের (ইউক্রেনে অবস্থিত দূতাবাস কর্মী) জীবন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনে অবস্থিত রাশিয়ার বিদেশি দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাশিয়া শীর্ষ নেতারা। খুব শিগগির তা বাস্তবায়ন হবে।

মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের দূতাবাস কর্মীদের প্রতি নিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দূতাবাস এবং কনস্যুলেটে বার বার হামলার ঘটনা ঘটছে। সে কারণেই তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এছাড়া ইউক্রেনে বর্তমানে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে তারা বলছে, এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা শুরুর পর বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ তাদের দূতাবাস কিয়েভ থেকে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত লিয়েভ সীমান্তে সরিয়ে নিয়েছে। এদিকে সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনকি ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনা মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মূলত দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় এবং পশ্চিমা দেশগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। যদিও শুরু থেকেই রাশিয়া বলে আসছে যে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনাই তাদের নেই।

গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন পুতিন। সে সময় তিনি এই দুই অঞ্চলকে ‘পিপলস রিপাবলিকস অব দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক বলে উল্লেখ করেন। দীর্ঘ এক বক্তব্যে পুতিন ইউক্রেন সম্পর্কে বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কলোনি যেটা ‘পুতুল সরকারের’ মাধ্যমে চলছে।

তিনি বলেন, ইউক্রেন কোন দিনই প্রকৃত রাষ্ট্র ছিল না এবং আধুনিক ইউক্রেন রাশিয়ার দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ধারণাকে তিনি রীতিমত আক্রমণাত্মক ভাবে বলেন ‘এটা সরাসরি রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি’। তার অভিযোগ, ন্যাটো রাশিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি আমলে নেয়নি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন