
একই নামের অন্য ডাক্তারের নাম-পদবী ব্যবহার করে প্রায় ১ যুগ ধরে দিয়ে আসছিলেন চিকিৎসাসেবা। পল্লী চিকিৎসক হয়েও ভুয়া ডাক্তারি ডিগ্রি ব্যবহার করে নিয়মিত বিভিন্ন স্থানে রোগী দেখতেন এবং ক্লিনিকে মোটা অংকের ভিজিটও নিতেন সকলের কাছে।
সাধারণ মানুষ এই ডাক্তার বেশে প্রতারক কে চিনতে না পারলেও প্রতারক এড়িয়ে যেতে পারেনি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সদস্যদের নজর।
বগুড়ায় শনিবার এনএসআই এর তথ্যের ভিত্তিতে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে আদমদিঘী উপজেলার আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক আকষ্মিক অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাসের নেতৃত্বাধীন আদালতে অন্যের এমবিবিএস সনদ জালিয়াতি করে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণার দায়ে সেই ভুয়া ডাক্তার কে দেয়া হয় ৬ মাসের কারাদন্ড। একই সঙ্গে করা হয় ১ লাখ টাকা জরিমানা।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাক্তার বেশে প্রতারকের নাম আব্দুর রশিদ সরকার। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগরের মৃত বাহার আলী সরকারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রতারক আব্দুর রশিদ একজন পল্লী চিকিৎসক। ১৯৯০ সালে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর আর পড়ালেখা করেননি। তবে ভুয়া এমবিবিএস ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রায় এক যুগ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রোগী দেখে বেড়াতেন তিনি।
নামের মিল থাকায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার আব্দুর রশিদ সরকার নামের একজন মেডিকেল অফিসারের ডিগ্রি ব্যবহার করে এই প্রতারণা করতেন তিনি। সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে এই ভুয়া চিকিৎসক আদমদীঘির আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আদালতে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করছেন। তিনি আরো বলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হকের নেতৃত্বে জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এমন অভিযান চলমান থাকবে।
অভিযানকালে এনএসআই কর্মকর্তা, র্যাব ও উপজেলা চিকিৎসকরাও উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন