ধুনটের জল তরঙ্গে বিজয় নিশান নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের | Daily Chandni Bazar ধুনটের জল তরঙ্গে বিজয় নিশান নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২২ ২২:২১
ধুনটের জল তরঙ্গে বিজয় নিশান নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের
ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে:

ধুনটের জল তরঙ্গে বিজয় নিশান
নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের

দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানিদের নিষ্ঠুর গণহত্যায় ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলার স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলার সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলা প্রশাসন।

ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্যে দর্শনার্থীদের সবচেয়ে নজর কেড়েছে জল তরঙ্গে লাল সবুজের বিজয় নিশান। এতে ফুটে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯৬ ফুট প্রস্থ এই পতাকা তৈরীতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯২ হাজার ৩৪০টি লাল ও সবুজ রঙের মরিচ বাতি। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই শত শত মানুষ ভীড় জমায় এই বিজয় নিশান দেখতে। এটি ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে। 

গত শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যতিক্রম কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বগুড়া-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ হাবিবর রহমান। 

এসময় আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।   

জানাগেছে, ধুনট উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মুজিব চত্বরের পরিত্যক্ত পুকুর সংস্কার করে বিজয় নিশান তৈরীর এই ব্যক্তিক্রম উদ্যোগ নেন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত। তার প্রচেষ্টায় নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলার বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। 

এছাড়া পুকুরের দক্ষিন পাশের ১০০ ফুট লম্বা নৌকা তৈরী করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণ রাখতেই বিজয় নিশানের পশ্চিম পাশের্^ লেখা রয়েছে ‘আই লাভ বঙ্গবন্ধু’। এছাড়াও পুকুরে পূর্ব পাশের্^ লেখা সাইবোর্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউম্যানেটি উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। 

তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহিত মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো উন্নয়ন চিত্রগুলো ফুটে তোলা হয়েছে ধুনটের মুজিব চত্বরের বিজয় নিশানে।

ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাব্বি, মৌ, সুস্মিতা বলেন, ধুনট উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এইসব প্রদশর্নী দেখে নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যাবে।

ধুনটের মুজিব চত্বরের বিজয় নিশান দেখতে বগুড়া থেকে এসেছিলেন সিদ্দিকুর রহমান নামে এক শিক্ষক। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে তৈরী করা এত বড় জাতীয় পতাকা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেশের প্রতি মানুষের গভীর শ্রদ্ধাবোধ জন্মনেবে।     

এবিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার এই স্বপ্ন তার কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। যার নেতৃত্বে এই বাংলার মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, লাল সবুজের পতাকা পেয়েছে। তাই বঙ্গববন্ধু ও তার স্বপ্নের সোনার বাংলা হৃদয়ে ধারন করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।

এব্যাপারে বগুড়া-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বলেন, ধুনট উপজেলায় বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে তৈরী করা হয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা। সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়নচিত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তবে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নতুন প্রজন্মের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন